• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কৌশল পাল্টাবে বিএনপি’


প্রকাশের সময় : মে ২৫, ২০১৮, ৪:২১ PM / ৬১
‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কৌশল পাল্টাবে বিএনপি’

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কৌশল পাল্টে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার(২৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।

শহীদ জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে এই সরকারের নীলনকশা আপনারা খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে দেখেছেন। খুলনায় দলীয় ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এখন গাজীপুরেও একই নীলনকশা তারা করছে। তবে খুলনায় যা করেছে গাজীপুরে তা করতে পারবে না। কারণ গাজীপুর আর খুলনার মানুষ এক নয়। খুলনার অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে সরকারের কূটকৌশল প্রতিহত করার জন্য আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে মাঠে থাকব। এমপি-মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য সংসদে নির্বাচনী আইন সংশোধন করা হয়েছে। যেন আমরা গাজীপুর নির্বাচন থেকে সরে আসি। কিন্তু আমাদের সরানো যাবে না। শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকব।

সরকারের পতন হবে আমাদের আগামী আন্দোলনের প্রধান ইস্যু উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালত দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। মুক্তি হবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে। সময়ই বলে দেবে কী ধরনের আন্দোলন হবে। নরম আন্দোলন হবে না গরম আন্দোলন হবে।

সরকারের মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের নামে মানুষ হত্যা করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, সারাদেশে এখন একটি মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষও জানে মাদকের মূল হোতা কারা। আন্তর্জাতিকভাবে কারা মাদক ব্যবসা করে। কোন এমপি কোন মন্ত্রী এই ব্যবসা করেস এর সব তারা জানে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় সরকার দলীয় এমপি ও নেতাকর্মীর ছত্রছায়া ছাড়া কোনো মানুষ মাদক ব্যবসা করতে পারে না। একই সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া কেউ মাদক ব্যবসা করতে পারে না। অথচ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। সাধারণ মাদক বহন করা লোকটিকে ধরে ধরে হত্যা করছে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে নেতাদের নাম বলবে তাই হত্যা করা হচ্ছো।

এছাড়া, তাদের হত্যা করার আরেকটি কারণ হলো নির্বাচনের বছরে মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেয়া। যেন মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস না পায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি বার বার ভারতে যান। কয়েকবার ভিজিট করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মরা-বাঁচার সমস্যা হলো তিস্তার পানি। সেই পানি নিয়ে কোনো আলোচনার বিষয়বস্তুই আনতে পারেন না। কোনো দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পানি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না।

এজন্য মানুষের আশঙ্কা হচ্ছে ভারত গিয়ে ১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মতো কোনো ষড়যন্ত্র করছেন কি না। এবার যদি তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে ভালো কোনো খবর আনতে পারেন তাহলে মনে করব আপনার সফর যৌক্তিক। না হলে মানুষের আশঙ্কাই বাস্তবায়িত হবে। তবে জাতীয়তাবাদী শক্তি এই ষড়যন্ত্রকে ভয় পায় না। এদেশের জনগণ আগামী দিনে আপনাদের সকল ষড়য়ন্ত্র রুখে দাঁড়াবে। বিএনপি তাদের পাশে থাকবে।

ড্যাব সভাপতি ডা. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীক, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ড্যাব সভাপতি খায়রুল ইসলাম,বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৪:২০পিএম/২৫/৫/২০১৮ইং)