• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

কিং বংশ পদবি যুক্ত করার দাবি ; ঈশা খাঁ’র বংশধর দাবীদার কিং আব্দুর রহমান শাহ’র সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১০, ২০২৫, ৯:৩৫ PM / ৩৫৮
কিং বংশ পদবি যুক্ত করার দাবি ; ঈশা খাঁ’র বংশধর দাবীদার কিং আব্দুর রহমান শাহ’র সংবাদ সম্মেলন
সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : “কিং প্রথম বাঙালি, কিং প্রথম বাংলা, কিং পূর্ব বাংলা, কিং বাঙালির ইতিহাস, কিং বাহাদুর শাহ উপাধি মোঘল সম্রাট” এভাবেই ফতুল্লার মাসসদাইরের অধিবাসী মোঘল সম্রাট ঈশা খাঁ এর  ১৬ তম বংশধর দাবীদার কিং আবদুর রহমান বাহাদুর শাহ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের বংশধরদের পূর্ব পরিচয় ও সমাধির স্থান তুলে ধরেন।
এসময় তিনি দাবী জানান, মোঘল বংশের রেখে যাওয়া তাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের সম্পত্তিগুলোতে কিং বংশের নাম যুক্ত করার।কেননা তাদের বংশের রেখে যাওয়া সম্পত্তি সরকারি,বেসরকারি, জনহিতকর কার্যসহ নানা কাজে  ব্যবহার করা হলেও তাদের পূর্ব পুরুষ এর নাম ও বংশের পদবি  কিং উপাধি যুক্ত করা হয়নি। তাই এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে তাঁর  দাবিগুলো তুলে ধরেন তিনি।
১০ নভেম্বর (সোমবার) বিকেলে মাসদাইর গোরস্থান সংলগ্ন চৌধুরী কমপ্লেক্স এলাকায় এ সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি এ সময় বক্তব্যে বলেন,  ১৩তম মোঘল সম্রাট কিং ইব্রাহিম বাহাদুর শাহ। বাংলাদেশের মানচিত্রে ইব্রাহিম খাঁ তার নামে লেখা আছে, (১) ধনবাড়ী শাহী মসজিদ (২) মধুপুর বনাঞ্চল, (৩) ভারতশরীহোমস, (৪) কুমুদীনী হাসপাতাল, (৫) মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, (৬) সাগরদীঘী। কিং পূর্ব বাংলা ১৯৪২ সালে বিতর্কিত এখন সোনার বাংলা ৩ টা খতিয়ান করেছেন সব জমিন ৩ ভাগ করে দিয়ে গেছেন। ২০১৫ সালে আল্লাহর রহমতে আমি ইতিহাস প্রচার শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর রহমতে আমি মোহাম্মদ কিং আব্দুর রহমান বাহাদুর শাহ, মোঘল সম্রাট তাদের ১৬ তম বংশধর।  ২২ মে ২০২৮ সালে ৭৬ বছর পরে গুগল মানচিত্রে নতুন করে তালিকা যোগ করেছি, প্রকাশ করেছি কিং পূর্ব পাড়া মাসদাইর জামে মসজিদ গোরস্থান, আবার মাসদাইর জামে মসজিদের বিষয় আব্দুর রহমান বাহাদুর শাহ, আবার কিং নারায়নগঞ্জ পৌরসভার নাম লিখেছেন প্রকাশ করেছেন এবং ১৯৪২ সালের পরে থেকে বিতর্কিত নাম নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। তিনি দাবি করেন,  নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এবং মাসদাইর গোরস্থান এই নামে দুইটা সাইনবোর্ড সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা নিজেরাই মুছে ফেলে আমাদের বংশধরের নাম লিপিবদ্ধ করেছেন।
ওই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালেই তিনি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যেসব দাবি জানিয়ে আসছিলেন ২০২৩ সালে এসে সত্য প্রমান পাওয়ায়  সরকার তা আইনে পরিণত করে। সেই সাথে জানান  তার এই দাবির প্রেক্ষিতে  ওই আইনে বলা হয়েছে দলিল যার জমি তার।
তিনি আরও দাবি করেছেন,  নারায়ণগঞ্জ জেলার নামের আগে কিং শব্দটি যোগ করতে হবে। এছাড়াও সরকারি দপ্তরগুলোতে কিং যুক্ত করতে হবে। তিনি নিজ উদ্যোগেই গুগল ম্যাপে তা যুক্ত করে দিয়েছেন। তা গুগল ম্যাপেও ভেরিফায়েড হয়েছে।
পরিশেষে তিনি বলেন, আমি কোনো অর্থ বা জমির অংশিদারিত্ব চাই না। আমি চাই,  আমাদের রেখে যাওয়া পূর্বপুরুষের জমিতে আমাদের বংশের ‘কিং’ পদবি যুক্ত করা হোক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-সমাজসেবক আলমগীর কবির,  সাইফুল সিদ্দিকী, মোঃ কাওছার আহমেদ, মোঃ আনোয়ার, মোঃ সুমন,মোঃ মামুন, মোঃ আব্দুল, মোঃ জাকির, মোঃ মামুন ও আব্দুলসহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।