সবুজ আহমেদ, সৌদি থেকে : মহামারি করোনা ভাইরাস পাল্টে দিয়েছে বিশ্ব পরিস্থিতি। এক অর্থে পুরো বিশ্ব অসুস্থ সময় পার করছে। সবচেয়ে অসুবিধায় আছে সৌদিতে শ্রমের খোঁজে আসা বাংলাদেশি শ্রমিক। সৌদি আরবে করোনার প্রভাব এতটাই প্রকট যে লাখ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে। অল্পসংখ্যক শ্রমিকের চাকরি থাকলেও কোম্পানি কমিয়ে দিয়েছে বেতন। কর্মহীন হয়ে বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের থাকা খাওয়ার ব্যয়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সৌদিতে বৈধ অবৈধ মিলিয়ে সরকারি ও বেসরকারি তথ্য মতে প্রায় ২২ লাখের মত বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। সৌদি আরব হল তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ।পেট্রল বাজারজাত করা বিশ্বের শীর্ষ ধনী রাষ্ট্র। আর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার।রেমিট্যান্সও বেশি আসে সৌদি আরব থেকে।অথচ শ্রমিকদের দুর্দিনে দূতাবাসের দায়িত্বশীলরা যেনতেন ভাব।দূতাবাসের ওয়াল হতে নিয়মিত স্যোশাল মিড়িয়ায় কয়েকটি মোবাইল নাম্বার আপডেট দিয়ে দায়িত্ব শেষ।যে নাম্বারগুলোতে দেয়া হয় তা মূলত শো আপ,ফোন করে সুফল পেয়েছে তেমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়না, বড়জোর রিং বাজে রিসিভ কেউ করেনা।এত দায়িত্ব হেলা দেখায় কর্মকর্তারা শ্রমিকদের সাথে,এমন কি ভাল ব্যবহার ও করেনা।সেবা পাওয়া শ্রমিকদের অধিকার দূতাবাস তা দিতে বদ্ধপরিকর।কিন্তু অসাধু কর্মকর্তারা সরকারের তরফ হতে অসহায় প্রবাসীদের জন্য পাঠানো অর্থ প্রণোদনা দিতে কার্পণ্য করে। শ্রমিকদের স্বার্থ সমুন্নত রাখা চলমান দুর্যোগে কী করণীয় স্বাস্থ্য সচেতন করার মত তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনা।অথচ বিশাল জনগোষ্ঠীর সুযোগ সুবিধা দেখার দ্বায়িত বিদেশে নিয়োজিত মিশনগুলোর,তারা বরাবরের মতো গা ছাড়া ভাব যেখানে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকবান্ধব অন্য দেশের দূতাবাস।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১২:৪০পিএম/৮/৭/২০২০ইং)
আপনার মতামত লিখুন :