• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:২২ অপরাহ্ন

একটি চুম্বন দৃশ্য, অতঃপর…


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৭, ২০১৮, ১১:৩৮ AM / ৩৯
একটি চুম্বন দৃশ্য, অতঃপর…

হুমায়ুন আহমেদ সৃজন : স্রোতে সবাই গা ভাসালেও আমি তার পক্ষে কখনোই ছিলামনা, এখনো নই। ভাইরাল কোন টপিক নিয়ে সবার মত আলোচনা- সমালোচনায় মেতে থাকা পরিবর্তে বিষয়টির গভীরে গিয়ে সত্যিটা জানার চেষ্টা করাটাকে স্বভাবে পরিণত করেছি আজ বহুদিন। টিএসসিতে সহকর্মী জীবন আহমেদের তোলা প্রেমিক যুগলের চুম্বন দৃশ্যটি গতকাল ও আজকালের টপ ট্রেন্ডিং টপিক হিসেবে দেশে ও দেশের বাইরে ভাইরাল হওয়ার পর আরেকজন সিনিয়র সহকর্মী তার নিজস্ব ফটোগ্রাফারের তোলা একটি ছবির সাথে এই ছবিকে তুলনা করে চুম্বন দৃশ্যের ছবিটিকে যখন ফটোশপে ৩ লেয়ারে এডিটেড বলে দাবী করলেন তখনও চুপ ছিলাম। অপরদিকে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে একই এলাকায় একটি রিকশাওয়ালার মাথায় একজন শিক্ষার্থী ছাতা ধরে আছেন এমন একটি ছবির সাথে এই ছবিটার তুলনা করে কোনটি ভাইরাল হওয়া উচিত ছিলো, কেন ওটার পরিবর্তে এটা হলো তা নিয়েও সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। একটি মিডিয়া হাউজের অ্যাসাইন্ড ফটোগ্রাফারের তোলা সেই ছবিটা তার মিডিয়াতে প্রকাশের পর সেটা নিয়ে সমালোচনা দেখিনি কোথাও, আর তার পরে যখন সেই ফটোগ্রাফার ছবিটি তার ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট দিলেন তখনই মহাভারত শুদ্ধ নাকি অশুদ্ধ তা নিয়ে যুদ্ধ বেঁধে গেলো (মহাভারত শব্দটি রূপক অর্থে ব্যবহার করা)। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিলো কিন্তু আজ সেই জীবন আহমেদ এর উপরে আমাদের সহকর্মীরাই সেই একই স্থানে হামলা করলেন এটা অগ্রহনযোগ্য। এখন আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি তোলার অপরাধে তিনি আক্রান্ত এরকম একটি খবর ভাইরাল হতে চলেছে কিন্তু কেউ এটা দেখছেন না, এটা নিয়ে কথা বলছেন না যে জীবন আহমেদ নিজেই বলেছেন ছবি তোলার অপরাধে নয় বরং সেই সময় তোলা ছবিগুলি চাওয়ার পর তাদেরকে দিতে রাজী না হওয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। গতকাল ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর আমাদের সিনিয়র একজন সহকর্মী তার হাউজের একজন ফটোগ্রাফার ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ছবি তুলিয়ে এনে তা পোস্ট করে যখন দাবী করলেন ছবিটি ফটোশপের কারসাজি আর তার পরপরই জীবন আহমেদের হাউজের দায়িত্বপ্রাপ্ত আরেকজন সিনিয়র সহকর্মী এই ছবিটির সত্যতা নিশ্চিত করে এই বিষয়ে আর কোন কথা নয় বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন। আমাদের উচিত ছিলো বিষয়টিকে এখানেই শেষ করে দেয়া, এরপর ছবিটিকে ফটোশপ দাবী করা সিনিয়র সহকর্মীও তার স্ট্যাটাসটিকে মুছে দিয়েছিলেন- বিষয়টি শেষও হয়ে গিয়েছিলো কিন্তু…
আজ জীবন আহমেদের উপর হামলা করে আমাদের সহকর্মীরাই বিষয়টিকে জিইয়ে রাখতে চাচ্ছেন বলেই মনে হলো, বিতর্ক যখন সমাপ্তির পথে ঠিক তখন নতুন করে বিতর্কিত এই ঘটনার জন্ম দিয়ে উনারা কি বুঝাতে বা প্রমান করতে চাইলেন তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আশাকরি তারা বিষয়টিকে দ্রুতই সমাধান করবেন এবং তা আমাদের কাছে স্পষ্ট করবেন।এখানে একে অপরকে, এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে, এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ী করা, উস্কানি দেয়া ও এটিকে আরো বিতর্কিত করার অপচেষ্টা থেকে সকলের বিরত থাকা উচিত বলেই মনে করি। জীবন আহমেদ ছবিটি তুলে অপরাধ করেননি, অপরাধ যদি করে থাকেন তাহলে ছবিটি ভাইরাল ও আজকে হামলার সাথে যারা যুক্ত কেবল তারা। অমুলক সন্দেহবাতিক হয়ে স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়া সকলকে বলবো প্লিজ, না জেনে শুধু শুধু একটা বিষয়কে বিতর্কিত করার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন, অযথা অসত্য তথ্য দিয়ে আমাদের সহকর্মীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলবেন না।

লেখক- হুমায়ুন আহমেদ সৃজন,
সংবাদকর্মী, অনলাইন ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট!
মোবাইল- ০১৭১৯২০৮৩৪০, ই-মেইলঃ nirobota4humayun@gmail.com
#HumayunAhmedShrijon

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:৩০এএম/২৭/৭/২০১৮ইং)