• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

উত্তর মেরু সাগরে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম দ্বীপ


প্রকাশের সময় : মার্চ ১২, ২০১৭, ১১:২৮ AM / ৩৯
উত্তর মেরু সাগরে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম দ্বীপ

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : উত্তর মেরু সাগরের ডগার ব্যাংকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির পরিকল্পনা করছে দুই কোম্পানি। এ পরিকল্পনার আওতায় দ্বীপে বন্দর, এয়ারপোর্ট, বাসস্থান ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির সুবিধা রাখা হয়েছে।
সাগরের তীরে বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে, যা ৮০ মিলিয়ন বা তার বেশি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। সৌরকোষ থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে এখানে। এই দ্বীপ মূলত নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদনকেন্দ্র হবে। জার্মান ও ডাচ কোম্পানি টেনেট এবং ড্যানিশ কোম্পানি এনার্জিনেট এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে।
আগামী ২৩ মার্চ ইউরোপিয়ান এনার্জি ইউনিয়ন কমিশনার মাওস সেফকোভিকের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।
এনার্জিনেটের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টরবেন গ্লার নিলসন বলেন, পরিকল্পনা শুনে মনে হচ্ছে যে অসম্ভব। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি মনে হতে পারে অনেকের কাছে। কিন্তু বায়ু থেকে পাওয়া এ জ্বালানি ভবিষ্যতে স্বল্পমূল্যে সবার কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
ধারণা করা হচ্ছে, কৃত্রিম দ্বীপে হাজার হাজার বায়ু টারবাইন স্থাপন করা হবে। এই টারবাইন থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে তা পরিবেশবান্ধব ও প্রায় ৮০ মিলিয়ন মানুষকে বিদ্যুৎ সেবা দেবে। এ বিদ্যুৎ তারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ডেনমার্ক ও বেলজিয়ামে।
টেনেটের প্রধান নির্বাহী মেল ক্রুন জানান, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে নবায়নযোগ্য জ্বালানী এ দ্বীপ থেকে সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, কার্বন উৎপাদন রোধ করতে বেশি বেশি সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন করা প্রয়োজন। বায়ু ও সূর্যের আলো একে অপরের পরিপূরক। বসন্ত থেকে শরৎ পর্যন্ত প্রচুর রোদ থাকে আবার শীতকালে ও অন্ধকারে প্রচুর বাতাস থাকে। তাই টেকসই ও স্থায়ী জ্বালানি ব্যবস্থা সূর্যের আলো ও বায়ুর ওপর নির্ভর করে উৎপাদন করা উচিত। এর জন্য প্রয়োজন যৌথ উদ্যোগ। কোনো সদস্য রাষ্ট্র একা এ উদ্যোগ সফল করতে পারবে না।
ডগার ব্যাংক কৃত্রিম দ্বীপ স্থাপনের আদর্শ স্থান। এখানে অগভীর পানি আছে আবার প্রচুর বাতাসও রয়েছে। তাই এই স্থানকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:১৭এএম/১২/৩/২০১৭ইং)