• ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ Jun ২০২৪, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন

ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত চর্যাপদের


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১, ২০১৭, ৭:২৩ PM / ৩৪
ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত চর্যাপদের

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন চর্যাপদের কবিতা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, তিব্বত ও মঙ্গোলিয়ার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আগে এসব কবিতার তিব্বতি ও মঙ্গোলীয় অনুবাদ ও মুনি দত্তের সংস্কৃত টীকার ওপর গবেষকদের নির্ভর করতে হয়েছে। এবার বাংলাদেশের হাসনা জসীমউদ্‌দীন মওদুদ মূল পাণ্ডুলিপি থেকে চর্যাগুলোর ইংরেজি অনুবাদ করেছেন।

শুক্রবার সকালে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে হলো কবি জসীমউদ্‌দীন-কন্যা হাসনা জসীমউদ্‌দীন মওদুদের বই ‘মিস্টিক পোয়েট্রি অব বাংলাদেশ’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান। ভারতের দিল্লির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হার-আনন্দ থেকে বইটি প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

বইটির বিভিন্ন দিক নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘চর্যাপদকে অনেকে বাংলা সাহিত্যের আকরগ্রন্থ বলেন। কিন্তু এতে তখনকার সমাজ ও সংস্কৃতি, এমনকি আইনের কথাও আছে। হাসনা মওদুদ তাঁর এই গ্রন্থে সেটাই তুলে ধরেছেন।’

পালি অ্যান্ড বুড্ডিস্ট স্টাডিজের শিক্ষক সুকমল বড়ুয়া বলেন, পাল আমলে এখানে বৌদ্ধ সাধকেরা জ্ঞানের চর্চা করতেন। পরে রাজনৈতিক বাস্তবতায় এখান থেকে যখন তাঁদের চলে যেতে হলো, তাঁরা চর্যার পুঁথি ছাড়া আর তেমন কিছুই নিতে পারেননি। সেখান থেকেই এগুলো ছড়িয়ে পড়েছে নেপাল ও তিব্বতের মতো জায়গায়। বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ফখরুল আলমও।

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক কায়সার হক বলেন, ‘বিশ্বসাহিত্য ও সংস্কৃতির ছাত্র হিসেবে এ বইয়ের মূল্য আমার কাছে অনেক। চর্যাপদে আছে কাব্য, সংগীত ও নৃত্যের সমন্বয়। আছে ধর্মীয় আচারও। তখনকার মানুষের সামাজিক রীতিনীতি, আবেগ, সংস্কৃতি সব এসব চর্যার মধ্যে আছে।’

বইটির প্রকাশক হার-আনন্দের চেয়ারম্যান নরেন্দ্র কুমার বলেন, লেখকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বহুদিনের। এ বইটি প্রকাশ করতে পেরে তিনি গর্বিত। আরও বক্তব্য দেন কবি আমিনুর রহমান।

হাসনা মওদুদ তাঁর বক্তৃতায় স্মরণ করেন কবি জসীমউদ্‌দীন, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে। তিনি বলেন, তাঁদের সাহচর্যই তাঁকে এমন কাজে উৎসাহী করেছে। এ বইটি লেখার জন্য তাঁকে যেতে হয়েছে নেপাল, তিব্বত, মঙ্গোলিয়ায়, এমনকি ভুটানের পরিত্যক্ত মন্দিরেও।

অনুষ্ঠানে দর্শকসারিতে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ মওদুদ আহমদ। ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ফজলে হাসান আবেদ এমন একটি কাজের জন্য হাসনা মওদুদকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘হাসনাকে চিনি ১৯৭৩ সাল থেকে, যখন বন্ধু মওদুদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হলো। প্রচুর ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি কাজ করেন। তাঁর এ বইটি মানে খুব ভালো হয়েছে। ছাপাও চমৎকার।’

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০৭.২২ পিএম/০১//২০১৭ইং)