• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন

আজ সেই বেদনাবিধুর কলঙ্কের কালিমায় আকাঁ বিভীষিকাময় ১৫ই আগষ্ট


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৫, ২০১৮, ১২:২৮ AM / ১৩৪
আজ সেই বেদনাবিধুর কলঙ্কের কালিমায় আকাঁ বিভীষিকাময় ১৫ই আগষ্ট

মাহাবুব আলম শ্রাবন (বিশেষ প্রতিনিধি) : বাঙালি জাতীর মর্মস্পর্শী হৃদয়বিদারক শোকের দিন আজ। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট আসে বাঙালির হৃদয়ে শোকের কালীমা আর পিতা হারানোর দীর্ঘশ্বাস হয়ে। বাঙালি জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে আজ পালিত হবে জাতির পিতার ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী।

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অশ্রুভেজা, কলঙ্কময় রাতের কথা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতের কথা। যে রাতে স্ত্রী-সন্তানসহ সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু একটি নাম, একটি ইতিহাস। তার জীবন ছিল সংগ্রামমুখর। সংগ্রামের মধ্যেই তিনি বড় হয়েছিলেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তত্কালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছাত্র অবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন সংগ্রামী নেতা। শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ৬ দফার প্রণেতাও ছিলেন। ৭০’র নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এদেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে পরিণত করেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উত্তাল সমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বজ্রদৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতার ৪৩তম প্রয়াণ। ১৯৭৫ সালের এদিন স্ত্রী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র- শেখ কামাল, শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল এবং এক সহোদরসহ নির্মম হত্যার শিকার হন জাতির জনক। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে সুসজ্জিত একদল বিশ্বাসঘাতকের কাছে শহীদ হন অবিসংবাদিত নেতা জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমান।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১২:২৫এএম/১৫/৮/২০১৮ইং)