• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন

অভিনেতা সালেহের চিকিৎসায় ২৫ লাখ টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১২, ২০১৯, ৬:৫৬ PM / ৬৭
অভিনেতা সালেহের চিকিৎসায় ২৫ লাখ টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : জনপ্রিয় অভিনেতা সালেহ আহমেদ। প্রায় আট বছর আগে ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এ অভিনেতা। এরপর বেশ কিছুদিন চিকিৎসা নেন। খানিকটা সুস্থও হন। কিন্তু অভিনয় করা বন্ধ হয়ে যায় তার, কারণ তখন থেকে ঠিক মতো কথা বলতে পারেন না তিনি। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতেও পারেন না। ফুসফুসে প্রদাহজনিত সমস্যা ও কিডনির সমস্যাসহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা আঁকড়ে ধরে তাকে।

দীর্ঘ কয়েক বছর অর্থ সংকট, অবহেলা অনাদর ও বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন তিনি। অসুস্থতায় দিন কেটেছিল তার। প্রায় বিনা চিকিৎসায় রাজধানীর উত্তরখানের বাসায় নীরবে নিভৃতে দিন পার করছিলেন।

সে সময় অভিনয় জগতের অনেকেই বিষয়টি জানতেন না। অসুস্থ অভিনেতা সালেহের খোঁজে তেমন কেউ এগিয়ে আসেননি। ২০১৬ সালের দিকে তার এ চলমান কষ্টের জর্জরিত জীবনের গল্প উঠে আসে গণমাধ্যমের পাতায়। এরপর থেকে সালেহের বিষয়টিতে টনক নড়ে বিনোদন জগতের অনেকের।

অবশেষে অসুস্থ সালেহের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ জানুয়ারি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য সালেহের পরিবার ও অভিনয় শিল্পী সংঘের কার্যনির্বাহী পরিষদের হাতে তুলে দেন পঁচিশ লাখ টাকার সোনালি ব্যাংকের একটি সঞ্চয়পত্র।

এ প্রসঙ্গে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম জানান, অভিনেতা সালেহের বিষয়ে শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছিল। এ বিষয়ে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর তাদের সহযোগিতা করেন। এ টাকা তারা এ গুণী অভিনেতার চিকিৎসার জন্য ব্যয় করবেন বলেও জানান নাসিম।

অভিনেতা সালেহের জন্ম বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে চাকরির করতেন তিনি। পাশাপাশি ময়মনসিংহে অমরাবতী নাটমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্বাধীনতার আগে থেকেই বিটিভিতে নিয়মিত অভিনয় করতেন। ১৯৯১ সালে অবসরে যাওয়ার পর হুমায়ূন আহমেদের নাটকে ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শুরু করেন। ধারাবাহিক নাটক ‘অয়োময়’ ও ‘আগুনের পরশমণি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। এরপর অসংখ্য নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

গত বছর সালেহের স্ত্রী মুসলিমা আহমেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, লেখক হুমায়ূন আহমেদ মারা যাওয়ার আগেই সালেহে অভিনয় থেকে দূরে সরে আসেন। তিনি অসুস্থ হলে হুমায়ূন ২০১১ সালে তাকে একবার দেখতে আসেন। ২০১৮ সালের শুরু দিকে একবার আবদুন নূর তুষার ও নাট্য নির্মাতা জি এম সৈকত একাবার তাকে দেখতে এসেছিলেন। আর অন্যান্যরা হয়তো সবাই ব্যস্ত। তাই কেউ একবারও তার খোঁজ নেওয়ার সময় পায়নি হয়তো।

সালেহের তিন মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। বড় মেয়ে চার বছর আগে মারা যায়। বর্তমানে তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। দুই মেয়ে অবিবাহিত, চাকরি করছেন। এক ছেলে জনস্বাস্থ্য বিভাগে সরকারী চাকরি করছেন। ছেলের বউ, নাতি এই সবমিলিয়ে সালেহের পরিবার।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/৬:৫৬পিএম/১২/১/২০১৯ইং)