• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

অবরুদ্ধ রেখে নির্মম ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মুন্সীগঞ্জের সুখবাসপুর গ্রামের কলেজ ছাত্রী


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২০, ২০২০, ৪:৫১ PM / ৯০
অবরুদ্ধ রেখে নির্মম ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মুন্সীগঞ্জের সুখবাসপুর গ্রামের কলেজ ছাত্রী
মোঃ‌লিটন মাহমুদ  মুন্সীগন্জ:  প্রেমিক স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির দীর্ঘ এক বছর অবরুদ্ধ রেখে নির্মম ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মুন্সীগঞ্জের সুখবাসপুর গ্রামের কলেজ ছাত্রী লাবণী আক্তার আঁখি (১৯) এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
অমানবিক নির্যাতনে অন্ধ হয়ে এবং পঙ্গুত্ববরণ করে কলেজছাত্রী লাবণী আক্তার আঁখি এখন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি তারা প্রেম করে বিয়ে করে। ঘাতক স্বামী হৃদয় ভুঁইয়া মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার হাতিমারা গ্রামের আমীন ভুঁইয়ার ছেলে। তাকে শ্বশুর বাড়িতে একটি ছোট ঘরে অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় আবদ্ধ জীবন কাটাতে বাধ্য করে। শ্বশুর এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। এক পর্যায়ে স্বামীও এতে যোগ দেয়। প্রায় সময় তাকে মারপিট করে। কখনো কখনো শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর একসাথে নির্যাতনে অংশ নিত বলে আঁখি জানায়। শ্বশুরের ভয়ে সে কখনই দরজা খুলত না। স্বামী আস্তে আস্তে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং যৌতুক আনার জন্য চাপ দেয়। কখনও কখনও কয়েক প্যাকেট সিগারেট জ্বালিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছ্যাঁকা দিত বলে সে জানায়। তাকে একদিন মারতে মারতে বেহুঁশ করে ফেলে এবং বাম চোখের ওপরে ক্ষত করে ফেলে। সেখানে প্রায় দশটি সেলাই দেয়া হয়েছিল। তাকে একদিন জোর করে ফিনাইল খাইয়ে দেয়া হয় এবং এতে তার খাদ্যনালী সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনার পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে সদর হাসপাতালে আনার পর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে সেখানে ফেলে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পালিয়ে আসে। ৭/৮ দিন ঢাকা মেডিক্যালে আঁখি আক্তার নিঃসঙ্গভাবে কাটানোর পর পাশের সিটের রোগীর আত্মীয়ের মাধ্যমে আঁখি বাবা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর তার বাবা মা গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে খাদ্যনালীর অপারেশন করান। এরপর আবার তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। আঁখি আক্তার বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের ৯নং বেডে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। তার দৃষ্টি হারানো দুটি চোখ নীরবে এ অত্যাচারের যেন বিচার চাইছে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় আদালতে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে রবিবার পর্যন্ত আইনী কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ বিষয়‌ে  রামপাল ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান  জনাব   বাচ্চু শে‌খের কা‌ছে  জান‌তে চাই‌লে  তিুন‌ি  অামা‌দের কে  ব‌লেন ,অা‌গে অা‌খিঁ কে  সুস্হ ক‌রে তুল‌তে হ‌বে  । তার প‌রে  অপরাধী যেই হোক  তা‌কে অাই‌নের অাওতায়  অান‌তে হ‌বে ।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদরসার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানিয়েছেন, আদালতের আদেশ এখন থানায় পৌঁছেনি। তারপর আমরা ঘাতক স্বামীসহ অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করব।
 (ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/০৪:৪৯পিএম/২০/১/২০২০ইং)