জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় স্ট্রাইকার আরিফকে করোনা কালীন সময়ে সহযোগিতা করেছেন জননেতা একেএম শামীম ওসমান এর সহধর্মিণী লিপি ওসমান ও সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড।
আরিফ বলেন, পেশাগত ভাবে আমি একজন ফুটবল খেলোয়ার।শুধু আর্থিক সহযোগিতা নয়, দেশের জন্য ফুটবলকে এগিয়ে নিতে চাই।মহামারী করোনাকালে আমার অসহায় জীবন সংগ্রামে য়ারা পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি । আল্লাহর দরবারে তাদের প্রতি রইল দোয়া। আল্লাহ যেন এমন দানবীর ব্যক্তিদের নেক হায়াত দান করেন।
স্ট্রাইকার আরিফ ঢাকার নিউজ ২৪ কে জানিয়েছেন, জননেতা একেএম শামীম ওসমানের সহধর্মিনী লিপি ওসমান সহযোগিতায় ৫০ হাজার টাকা ও সাইফ পাওয়ারটেক এর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং সাইফ পাওয়ারটেক চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড ক্লাবে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন।
এই সহযোগিতায় আরিফ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং করোনা কালীন সময়ে মানবতায় এগিয়ে আসা তার মত একজন খেলোয়ারকে সহযোগিতা করায় জননেতা একেএম শামীম ওসমানের সহধর্মিনী লিপি ওসমানের ও সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন ।
তিনি আরো বলেন, আমার খেলার দক্ষতা দিয়ে জাতীয় ফুটবল দলে জায়গা করে নিতে চাই এবং ভালো খেলে দেশ থেকে দেশান্তরে এর সুনাম ছড়িয়ে দিতে চাই । আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আমি যেন ফুটবল খেলায় দেশের জন্য ভাল সুনাম বয়ে নিয়ে আসতে পারি।
উল্লেখ্য যে, কারোনাকালে স্ট্রাইকার আরিফকে কোন টিম নেয়নি। আরিফ অতীতে ফুটবল খেলে যে টাকা কামিয়েছিল সেই টাকা দিয়ে বাবাকে দিয়েছিল ব্যবসা করতে। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। বাবা স্ট্রোক করে দুই বার। ২০১৯ সালে আড়াই লাখ টাকা বাৎসরিক চুক্তিতে চ্যাম্পিয়নস লিগ অগ্রণী ব্যাংক, ২০১৭-১৮ মৌসুম শেখ জামাল টিমে ৬ লাখ, ২০১৬ সাল ৩ লাখ টাকা আরামবাগ কেসি ও ২০১৫ বি লিগ বিজেএমসিতে আড়াই লাখ টাকা চুক্তিতে টিমে সুযোগ পায় আরিফ। কিন্তু করোনা সংকটের কারনে কোন টিমে ডাক না পেয়ে তার জীবনে নেমে আসে বেকারত্ব। বাবা মায়ের সংসার টানতে পেটের ক্ষুধা মেটাতে শেষ পর্যন্ত গত দেড় মাস ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে মাত্র ৪’শ টাকার জোগালি কাজ করছিল স্ট্রাইকার আরিফ হাওলাদার।
আপনার মতামত লিখুন :