
নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লার পাগলনাথ রাম সীতা মন্দিরে অবৈধ ও প্রতারণামূলক কার্যকলাপের অভিযোগে মহারাজ চিন্ময় মহন্ত ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে এলাকার সহজ-সরল মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিন্ময় মহন্ত মন্দিরের মধ্যে এক ব্যক্তিগত আস্তানা গড়ে তুলে প্রতারণার মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে ফাঁদে ফেলছেন। মন্দিরে আসা রোগীদের চিকিৎসার নাম করে দেওয়া হচ্ছে ভ- চিকিৎসা, যার মধ্যে রয়েছে তাবিজ পরানো, ঝাড়ফুঁক, এবং বিভিন্ন অদ্ভুত নিয়মের মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা।
ভুক্তভোগী এক নারী জানান, “আমার স্বামীর সাথে সমস্যা ছিল, তাই ২ হাজার টাকা দিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। তিনি আরও দাবি করেন, ‘এভাবে টাকা নেয়া ছাড়া আর কিছুই হয়নি’।”
অন্য আরেক নারী জানান, ‘আমরা শুনেছি, নিঃসন্তান দম্পতির জন্য এখানে চিকিৎসা হয়, কিন্তু আমরা এখানে এসে প্রতারিত হয়েছি। মহারাজের চিকিৎসার নামে শুধু টাকা নিয়েছেন, কিন্তু কোনো চিকিৎসা হয়নি।’
এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, চিন্ময় মহন্ত একদিকে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন, অন্যদিকে নিজের আখের গোছাতে প্রতারণার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তিনি বিলাসবহুল গাড়িতে চলাফেরা করেন, যা তার অবৈধ আয়ের এক প্রমাণ।
স্থানীয়রা আরো জানান, চিন্ময় মহন্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এলাকাবাসী এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে পাগলনাথ রাম সীতা মন্দিরের মহারাজ চিন্ময় মহন্ত জানান, আপনি আইসেন মন্দিরে তারপর কথা বলমুনে। কি কমু রে ভাই কত মানুষ কত কথা কয়। আপনি নিজে আইসা দেইখা যাইয়েন মন্দিরে।
তবে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, তাঁর কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি, এবং তিনি অবাধে এই প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :