• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

 এই সমাজের ইনসাফ দুর্লভ


প্রকাশের সময় : জুন ২৮, ২০১৯, ৯:২৩ PM / ৩০
  এই সমাজের ইনসাফ দুর্লভ

লিখন রাজ : রিফাত হত্যার ভিডিও চিত্র। কি নির্মান সেই হত্যাকান্ড! তবে কেন এই হত্যাকান্ড? পিছনের গল্প বেশ লম্বা। যেখানে আছে ক্ষমতার লড়াই, অসম প্রেমের লড়াই। সমাজে মানবিক নৈতিক অবক্ষয়, ক্ষমতার হিস্রতা কারণে এ ধরণের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। নারী অথবা পুরুষ সেটা যে পক্ষের হোক না কেন ! পৃথিবীর ইতিহাসও সাক্ষী দিচ্ছে, প্রেম থেকে বহু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতেও ঘটবে।

পশু-পাখির প্রভু প্রেম আমাদের কাছে কিংবদন্তী হয়ে আছে। কিন্তু মানুষকে সারাজীবন আদর-যত্ন করে লালন-পালন করলেও প্রায়ই সে তা ভুলে গিয়ে বেঈমানি করে। এটাই স্বাভাবিক! এখানে বিশ্বাস শব্দটাই সবচেয়ে বড় দূর্বলতা।

প্রেম… অনিবার্য এই অনুভূতিকে বাদ দিয়ে বেঁচে থাকা একেবারেই কঠিন। সাধক হয়ে অথবা নিজের সজাগ যৌন কামনাক ঢেকে রাখতে পারে কয়জন?

মানুষের শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানই তার আবেগীয় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রথম প্রথম তরুণ-তরুণীরা যখন রিলেশনে লিপ্ত হয় তখন তাদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি থাকে তীব্র আকুলতা। অথচ মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ আলাদা। মনোবিজ্ঞান বলে, প্রেম-রোমান্স এর সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে কামের নেশা। এই নেশা প্রথমে থাকে লুকনো। সুযোগ ও সময় পেলেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। প্রেম ও কাম তাই বিলীন হয়ে থাকে একই মুদ্রার দু’পিঠে। তখন সবকিছু আর আবেগের গণ্ডির মধ্যে থাকে না।

প্রেমে আক্রান্ত নরনারী চিন্তা ও আচরণের এই বিশিষ্টের সাথে মনোবিজ্ঞানীরা ‘Obsessive Compulsive Disorder(OCD)’ এর মিল দেখতে পেয়েছেন। এটি একটি মানসিক রোগ।

অন্যদিকে রোমান্টিক মনের মানুষ আসলে সাইক্লোথাইমিক রোগী। তারা যখন উৎফুল্ল থাকে তখন তারা দ্রুতই প্রেমে পড়ে। আবার যখন বিষণ্ণ থাকে, তখন আত্মঘাতী মনোভাবও আসতে পারে তাদের মাঝে।

আজকাল সমাজ ভাসছে পরকীয়ার ও অসম প্রেমের জোয়ারে , যা সকল প্রকার সহিংসতার অন্যতম কারণ। সর্বত্র এখন চলছে বিশ্বাস ভাঙ্গনের খেলা। পরকীয়া আর অসম প্রেমের জোয়ারে ভাসছে সব শ্রেণীর মানুষ। সমাজে এ ধারার অপ্রতিরোধ উত্থানের ফলে পরিবার সমাজ-রাষ্ট্রে সর্বত্র বাজছে ভাঙ্গণের সুর; যা প্রকারন্তরে সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে।

#রিফাত হত্যার বিচার এমন কঠোর ও দ্রুত হওয়া দরকার যাতে দ্বিতীয়বার কেউ এই ধরনের কিছু করার আগে একশতবার ভাবে এটা যেমন সত্য, অন্যদিকে মানসিক ভাবে অসুস্থ এই সমাজের সঠিক চিকিৎসা করানোটাও উচিত।

মানব মস্তিষ্কে সৎ ভাবনায় পরিপূর্ণ করলে চিন্তা- চেতনায় সৎ, যোগ্য ও নির্ভীক হবে-কমবে বিকৃত রুচি। মনে রাখতে হবে, শুধু নীতিকথায় তো আর জীবন চলে না। জীবনের জন্য চাই অনেক কিছু, অন্য কিছু।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/৯:২৪পিএম/২৮/৬/২০১৯ইং)