• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

৯ মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ১৭%


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৩, ২০১৭, ১:০৪ PM / ৩০
৯ মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ১৭%

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারাবাহিক পতনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি কয়েক দফায় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। প্রবাসী আয় কেন কমছে, তা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দল সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া গিয়েছিল। তারা দেখেছে, প্রবাসীদের আয় কমেছে। অবৈধ পথে প্রবাসীদের আয় পাঠানোও আগের চেয়ে বেড়েছে। বিকাশের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে প্রবাসীদের থেকে আয় সংগ্রহ করা হচ্ছে, যাতে ব্যাংকের চেয়ে বেশি বিনিময় মূল্য পাওয়া যাচ্ছে।

প্রবাসী আয় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। যারা কম অঙ্কের আয় পাঠাবে, তাদের নগদ প্রণোদনা দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘যাঁরা অল্প পরিমাণ আয় পাঠান, তাঁদের খরচ মওকুফ করার চিন্তা চলছে। আমাদের গবেষণায় পাওয়া সুপারিশ থেকে এ চিন্তাটি এসেছে। তাহলে ছোট অঙ্কের আয় অবৈধ পথে আসবে না।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা পাঠান ৯৪ কোটি ডলার। আগের বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১১৩ কোটি ডলার।

২০১৬ সালেও প্রবাসীরা ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। যদিও ২০১৫ সালে এসেছিল ১ হাজার ৫৩২ কোটি ডলার। সে হিসেবে গত বছরে প্রবাসী আয় কমে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ। এর আগে ২০১৩ সালেও প্রবাসীরা ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। ওই বছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ৩৮৩ কোটি ডলার পাঠান।

এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম  বলেন, স্বল্পমেয়াদি কোনো উদ্যোগ নিয়ে আয় বাড়ানো যাবে না। বেশি শ্রমিক আছে এমন দেশের দূতাবাসকে সক্রিয় হতে হবে। এ ছাড়া হুন্ডি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দামের পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে।

মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার আগে শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন থেকে মাথাপিছু আয় কম পাচ্ছি। দক্ষ শ্রমিক প্রেরণ করে এটা বাড়ানো যেতে পারে।’

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে ব্যাংকিং চ্যানেল ও খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের দামের পার্থক্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ টাকার বেশি। বেশি টাকার আশায় অনেকেই অবৈধ পথকে বেছে নিচ্ছেন। এদিকে ডলারের বিপরীতে পাউন্ড, ইউরো, রিঙ্গিত, সিঙ্গাপুর ডলারসহ প্রভৃতি মুদ্রার মূল্যমান কমে গেছে। ফলে এসব দেশের শ্রমিকদের আয়ের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা কম পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমায় শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। আবার কয়েকটি দেশ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০১.০০ পিএম/০৩//২০১৭ইং)