• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ন

৮ জুন যুক্তরাজ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচন


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৯, ২০১৭, ১০:০৮ AM / ৪০
৮ জুন যুক্তরাজ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচন

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

হঠাৎ করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ডাক দিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ সাড়া ফেলে দিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। আগামী ৮ জুন এ নির্বাচন করতে চান তিনি। হাতে আছে আর মাত্র ৫০ দিন।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অনেকটা আকস্মিকভাবে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের ঘোষণা দেন টেরিজা মে।

বুধবার এ নিয়ে হাউস অব কমন্সে ভোটাভুটির কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনায় আরও শক্ত অবস্থানে থাকার জন্য এই নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন তিনি। যুক্তরাজ্যের আগামী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২০ সালে।

টেরিজা মের আগাম নির্বাচনের এ পরিকল্পনা পার্লামেন্টে পাস হওয়ার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থনের প্রয়োজন হবে। সে অনুযায়ী ৬৫০ আসনের হাউস অব কমন্সের ৪৩৪ জন এমপিকে প্রস্তাবটি সমর্থন করতে হবে।

আগাম নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা গতকাল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্যের শক্তিশালী নেতৃত্ব দরকার। দরকার স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা। ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন প্রশ্নে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠছে, কিন্তু এমপিরা বিভাজন জিইয়ে রাখছেন।

ব্রেক্সিট প্রশ্নে বিরোধী দলগুলোর অবস্থানের কড়া সমালোচনা করে থেরেসা মে বলেন, লেবার পার্টি ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা সরকারের কার্যক্রম ভেস্তে দিতে চান। স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি চায় ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া থামিয়ে দিতে। অনির্বাচিত হাউস অব লর্ডসের সদস্যরাও ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে সরকারের সঙ্গে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন।এখন সাধারণ নির্বাচন না করলে ওদের রাজনৈতিক খেলা বন্ধ হবে না।

আগাম নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণা আসতে পারে আগে থেকে এমন কিছুই আন্দাজ করতে পারেনি বিরোধী দলগুলো। তারা নির্বাচনের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।

গত বছরের জুনে অনুষ্ঠিত ব্রেক্সিট গণভোটে হেরে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন। নাটকীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান থেরেসা মে। সেই থেকে ৯ মাস ধরে তিনি মধ্যবর্তী নির্বাচনের সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। হঠাৎ নির্বাচনের এমন ঘোষণা তাই বিরোধী দলগুলোকে অবাক করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত বিরোধী দল লেবার পার্টির  জনপ্রিয়তা এখন স্মরণকালের সবচেয়ে নিচে। প্রধানমন্ত্রীর ধারণা, এখন নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের সঙ্গে টেক্কা দেওয়া বিরোধীদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই সুযোগে জনসমর্থন আদায় করে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার সুযোগ নিতে চাইছেন টেরিজা মে।

তবে বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলছেন, জরিপ অনুযায়ী টেরিজা মের ক্ষমতায় ফেরা নিশ্চিত হলেও সম্প্রতি বিশ্ব রাজনীতিতে জরিপের ফল উল্টে যাওয়ার নজির রয়েছে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ১০.০৪এএম/১৯//২০১৭ইং)