• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

১ মাসের ব্যবধানে কতটা বদলেছেন ফাটা কেস্ট!


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২, ২০১৯, ১০:৪৫ AM / ৫৯
১ মাসের ব্যবধানে কতটা বদলেছেন ফাটা কেস্ট!

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : ছবিটি দেখে দু’জনের মাঝে লোকটিকে চেনা অনেকের জন্যই কষ্টকর হতে পারে। হঠাৎ দেখে অনেকের আবার ধাঁ ধাঁ লেগে যেতে পারে। অনেকেই এই ছবি দেখার জন্যে প্রস্তুত নয়। তা হলে? হ্যা এই আমাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চিকিৎসাধীন অবস্থায় এটাই তার প্রথম ছবি। আর ছবিটি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। অনেককে মন্তব্য করতে শুনা যায়- মানুষটা যে বেঁচে আছে তাই আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া।

তারপরেও স্বস্তি যে, মন্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠছেন।

ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উরফে ফাটা কেস্ট। তার শরীরে লাগানো অ্যান্ডো ট্র্যাকিয়াল টিউব খুলে ফেলা হয়েছে, স্বাভাবিক চলাফেরা করছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার(১ এপ্রিল) সকালে সিঙ্গাপুরে থাকা সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরের ঘুমের ওষুধও আস্তে আস্তে কমিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান তার ফেসবুকে ওবায়দুল কাদেরের ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যায় দু’জন ব্যক্তির মাঝে বসে আছেন ওবায়দুল কাদের। তার ডান ও বা হাতে ব্যান্ডেজ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভাই ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। তার রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রিয় নেতার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে এমন সুখবরই দিলেন প্রিয় নেতার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট ইসরাতুন্নেসা কাদের ভাবী। প্রিয় নেতার সঙ্গে তার কেবিনে সাক্ষাৎ হলো, কথা হলো। সেই মূহূর্তগুলো ছিল ভাষাহীন।’

তিনি লেখেন, ‘পরস্পরের দিকে আমরা তাকিয়ে। টানা এক মাসের উৎকণ্ঠায় থাকা মনটা কখন আবেগে তলিয়ে গেছে খেয়াল করিনি। হঠাৎ খেয়াল করলাম চোখ দুটো ভিজে গেছে। অশ্রুজল কাদের ভাইও। তার মলিন মুখে স্ফিত হাসি দেখে মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করলাম। সকৃতজ্ঞতায় বললাম, আল্লাহ আপনিই একমাত্র ভরসা।’

উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ ভোরে ফজরের নামাজের পর হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। প্রথমে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হলেও পরে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয় তাকে। পরে এনজিওগ্রামে কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।

অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে গত ৪ মার্চ বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১০:২২এএম/২/৪/২০১৯ইং)