• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার রপ্তানিতে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১১, ২০১৮, ১১:৪৫ PM / ৪১
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার রপ্তানিতে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও সেবা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ সুবিধা পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ১১ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপোতে অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই সুবিধা পেতে যাচ্ছে সফটওয়্যার, হার্ডওয়ার ও সেবা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিশ্বের কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। বরং এই খাতে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় পরিবেশ রয়েছে। সঠিক পথে এ খাতটিকে রাখতে পারলে এর আরও উন্নতি সম্ভব।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশের যেসব প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবে সরকার তাদের কর ২০২৪ সাল পর্যন্ত মওকুফ দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। আশা করছি আগামী বাজেটে এই বিষয়ে ঘোষণা আসবে।’

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরিতেও সরকার কাজ করছে জানিয়ে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘সরকারি বিভিন্ন সেবার মাত্র ৪০ ভাগ এখন অনলাইনে দেয়া হয়। এ সংখ্যা শতভাগে নিয়ে আসতে কাজ করছি আমরা। ফলে একসময় জনগণ ইন্টারনেটের আওতায় আসতে বাধ্য হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমরা বাইরের দেশের মোবাইল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে দেখতে চাই। আমরা এ জন্য ট্যাক্স কমিয়েছি। আমরা চাই দেশীয় ব্র‍্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাইরের কোম্পানিগুলো আমাদের দেশে তাদের কারখানা প্রস্তুত করুক।’

ইন্টারনেটের মান বৃদ্ধি করা গেলে স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ইন্টারনেটের মান বৃদ্ধি, গতি বৃদ্ধি করা গেলে স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়বে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে মানুষ এখন অনেক কিছু করছে। শুধু কথা বলা নয়, তারা এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করছে। এর একটি উদাহরণ ১০ মিনিট স্কুল।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ বছর আগে মোবাইল কেনার হার ২ শতাংশ ছিল। তবে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের মোবাইলের চাহিদাও বাড়ছে।’

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:৪৫পিএম/১১/১/২০১৮ইং)