• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়ে নতুন মন্ত্রীরা যা বললেন


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৯, ২০১৯, ১০:১৮ AM / ৪৭
স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়ে নতুন মন্ত্রীরা যা বললেন

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : নতুন মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়ার পর প্রথম কর্মদিবসে নিজ নিজ দফতরে যোগ দিয়ে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি: প্রিয়.কম
(প্রিয়.কম) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা ইতোমধ্যে শপথ গ্রহণ করেছেন।

৭ জানুয়ারি, সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর মাধ্যমে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে ধাপে ধাপে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রীকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।

শপথের পরদিন মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিন শুরু করেন মন্ত্রিপরিষদের নতুন সদস্যরা। এরপর নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নানা কর্মসূচি শেষ করে শপথ নেওয়া মন্ত্রিপরিষদের অনেক সদস্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সে সময় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেন তারা।

নব গঠিত মন্ত্রিসভায় তথ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকও। এর আগে ২০০৯ সালের মন্ত্রিসভায় পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

সচিবালয়ে প্রথম অফিস করতে এসে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণমাধ্যমের বিকাশ হওয়ার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অনেকগুলো ভুঁইফোড় অনলাইন সংবাদমাধ্যম তৈরি হয়েছে। তারা অনেক সময় ভুল সংবাদ পরিবেশন করে, অনেকের চরিত্র হননের ঘটনাও ঘটে। এগুলো আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করব। আপনাদের সহযোগিতায় এগুলো মোকাবিলা করব।’

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিকাশের শেখ হাসিনার হাত ধরে ঘটেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। চ্যালেঞ্জ না থাকলে সেই কাজ করার মধ্যে কোনো আনন্দ নেই।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, আশা করি আমরা সামনের দিনগুলোতে মাদককে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সের কথা বলেছিলাম। আমরা সবগুলোই কিছুটা কন্ট্রোল করেছি।’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মন্ত্রণালয়ে প্রথম বৈঠকে খেলাপি ঋণ আদায় করার নতুন কৌশল বের করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো ও খারাপকে একসাথে মেলাব না। কাউকে জেলেও পাঠাব না, বন্ধও করে দেব না।’

‘স্প্রেড (সুদ ও আমানতের হারের পার্থক্য) বেশি হলে আমানত ফেরত আসে না এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যত কম রেটে ঋণ নিতে পারবেন, তত কম রেইটে ঋণ দিতে পারবেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নন পারফরমিং লোনের যে কথা বলা হচ্ছে, এটা লম্বা সময় ধরে চলে আসছে, এটি ১৩ শতাংশ। এটি সাত থেকে আট শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। নিচে নামিয়ে আনতে অনেক কঠিন হতে হবে। আত্মীয়-স্বজন চিনব না, যে দেয় এবং যে দেয় না, তাদের এক জায়গায় রাখব না। যে দেয় তার জন্য প্রয়োজনে প্রণোদনার ব্যবস্থা করে দেব।’

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে নিজ দফতরে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেন, ‘এ মেয়াদে অগ্রাধিকার হবে জনগণের জন্য সুবিচার ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা। মানুষের সুবিচার কী হওয়া উচিত তা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সংবিধানেই উল্লেখ আছে। সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত করেই মানুষের সুবিচারের ব্যবস্থা করা হবে।’

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ‘আগামী দিনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ডে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থানের প্রতিফলন দেখা যাবে। কোনো অবস্থায়ই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’

এ দিকে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন রেলকে দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

রেলভবনে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত পরিচিতি সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। সে অনুযায়ী রেলকেও দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। রেলওয়ের চলমান প্রকল্পগুলো যাতে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় সে জন্য কাজ করব।’

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে প্রথম বসে সাংবাদিকদের কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ দুটি। তা ছাড়া অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তার মধ্যে দুটি অন্যতম। একটি হচ্ছে খাদ্যের পুষ্টিমান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আরেকটি হচ্ছে কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক করা।

‘আমাদের দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। দানা জাতীয় খাদ্যে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। এখন আমাদের খাদ্যে পুষ্টিমান বাড়াতে হবে। খাদ্যে ভেজাল আছে, সেগুলো রোধ করতে হবে। এ কারণে খাদ্য নিরাপত্তার যে আইন আছে, সেটা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’

শপথের পরদিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চলবে, যে অভিযান শুরু হয়েছে এটা আরও জোরদার হবে। বিশেষ করে মাদক সুনামির মতো সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এখনই জিরো টলারেন্স যদি আমরা প্রদর্শন করতে না পারি তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের তরুণ সমাজের জন্য এটা অশনি সংকেত হয়ে যাবে। কাজেই মাদকের ব্যাপারটা ফাস্ট প্রায়োরিটি, মাদকের সঙ্গে করাপশনও আছে।’

‘আর একটা বিষয় হলো আমরা এবার সুশাসনের বিষয়ে অধিকতর মনোযোগ দেব। এসব বিবেচনায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউ ফেসেস নিয়ে তার কেবিনেট সাজিয়েছেন।’

মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে এসে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমি এবং উপমন্ত্রী রাজনীতির মানুষ। আমাদের জন্ম রাজনৈতিক পরিবারে। আমরা দলের মধ্যেও সহযোদ্ধা। দলে ভালো টিম। এখানেও সবাইকে নিয়ে টিম হিসেবে কাজ করব। সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করব। কাজ সঠিকভাবে করতে গেলে সকলের সহায়তা লাগে। আমরা সেই সহায়তা চাই।’

দুর্নীতিবাজ কর্মীদের ভালো হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তিনি বলেন, ‘“ওরা” আমাকে ভালো করে চেনে। সুতরাং যাদের সমস্যা তাদেরকে বলব ভালো হয়ে যেতে, আর না হয় অন্য জায়গায় চলে যেতে।’

‘সকল ভূমি অফিস সিসিটিভির আওতায় থাকবে এবং আমাদের একসেস থাকবে। অফিসে বসে নিজের ইচ্ছামত ভূমি অফিসের চিত্র দেখতে পারব। এটা হলেই পঞ্চাশ শতাংশ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এটা করতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি বিষয় আছে। আশা করি হয়ে যাবে। আমরা প্রসেস করতে থাকি।’

সচিবালয়ে প্রথম অফিসে করতে এসে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমি সততা-নিষ্ঠা নিয়েই এ পর্যন্ত এসেছি। আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, আমার ভেতর যাতে অহঙ্কার না ঢোকে, আমি যেন সততা বিসর্জন না দেই সেই দোয়া করবেন। এই দোয়া ও সততা নিয়েই খাদ্য মন্ত্রণালয় চালাতে চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটু কিছু হলেই দুর্নাম শুরু হয়ে যায়। আমাদের এই দুর্নাম যাতে না হয়।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘সরকারের এই মেয়াদে আমাদের সকল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। অন্য সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের মন্ত্রণালয়ের অনেক কাজ সংশ্লিষ্ট রয়েছে। পুরো দেশ এবং সরকারকে ডিজিটাল বানানোর দায়িত্ব আমাদেরই।’

সচিবালয়ে নিজের প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচিতি ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিতকরণ সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নির্বাচনি অঙ্গীকার গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। এ সুবিধা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের গতিশীলতা আরও বাড়াতে হবে। তা হলে গ্রামের মানুষ উন্নত জীবনযাত্রার সুবিধা পাবে, নগরমুখী জনস্রোত রোধ করা যাবে এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে আগামী পাঁচ বছর দেশের অবকাঠামো খাতে উন্নয়নে চমক থাকবে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধ জনপদে পরিণত হওয়ার লক্ষে কাজ করছি। প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। গুণগত কাজ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা দেশে আগামী পাঁচ বছরে উন্নয়নে চমক দেখাতে চাই। সব ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করব।’

পাটকে ব্র্যান্ডিং করার প্রতিশ্রুতি দিলেন নতুন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। সচিবালয়ে নিজ দফতরে প্রথম কর্মদিবসে তিনি বলেন, ‘আমি পাটকে ব্র্যান্ডিং করার চেষ্টা করব। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকতে হলে অবশ্যই দাম কমাতে হবে। এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দাম বেশি থাকলে তো মার্কেটে টিকবে না।’

মন্ত্রণালয়কে শ্রমিকবান্ধব মন্ত্রণালয় হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। দফতরে যোগ দিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় দায়িত্বগ্রহণের পর মঙ্গলবার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর বিবৃতিতে আমরা চিন্তিত নই। এখানে তাদের সঙ্গে বোঝাবুঝির অভাব ও ইনফরমেশন গ্যাপ থাকার কারণে এমন বিবৃতি এসেছে। তবে ভবিষ্যতে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছেন, তার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। নির্বাচনি ইশতেহারের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমাদেরকে কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করতে হবে। আমি সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা এভেইলেবেল। যেকোনো প্রয়োজনে, যেকোনো সময় আপানারা আমাকে পাশে পাবেন।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা, ব্লু-ইকোনমি তথা সমুদ্র সম্পদের উন্নয়ন, প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধার সম্প্রসারণ, তরুণ-যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এসব উন্নয়নরে মূলে থাকবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজের দফতরে এসে ‘ভালো কিছু’ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন, তিনি যে নির্দেশনা দেবেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তা বাস্তবায়ন করাটাই হচ্ছে আমার কাজ। কারণ এটার পূর্ণমন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই।’

‘সামনেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী, স্বাধীনতার ৫০ বছরও পূরণ হবে। সবকিছু মিলিয়ে একটা বড় রকমের পরিবর্তন আপনারা দেখবেন ইনশাআল্লাহ। সে ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন অবশ্যই এগিয়ে থাকবে।’

মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সচিবালয়ে প্রথম নিজের কার্যালয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শেখ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি কয়েকবার হজে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে লোকদের (হাজি) কান্নাকাটি দেখে বলেছিলাম আমার যদি কোনো ক্ষমতা থাকত। এখন আল্লার রহমতে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বদৌলতে দায়িত্ব যখন পাইছি, আমি হজের ব্যাপারে কোনো কথা হোক এটা চাই না এবং হতে দেব না।’৯প্রিয়.কম)
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:১৮এএম/৯/১/২০১৯ইং)