• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন

সুবিধা না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ!


প্রকাশের সময় : জুন ৩, ২০১৯, ৬:১৯ PM / ৩৪
সুবিধা না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ!

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে দাতা সংস্থার দেয়া ইফতার সামগ্রীর বাড়তি ভাগ না পেয়ে সংশ্লিষ্টদের বিপক্ষে পুলিশ সুপারের নিকট মিথ্যা অভিযোগ করেছে একটি পক্ষ। আদমজী বিহারী ক্যাম্পের এ ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, গত মাসে একটি বিদেশি দাতা সংস্থা থেকে আদমজীর বিহারীদের জন্য তিন হাজার ইফতারীর প্যাকেট বিতরনের জন্য পাঠানো হয়। আদমজী উম্মুল ক্বোরা জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীনকে এ প্যাকেটগুলো বিতরনের জন্য দায়িত্ব দেয় সংশ্লিষ্টরা।
নির্দিষ্ট দিনে বিহারী পরিবারগুলোর মধ্যে প্যাকেটগুলো বিতরন করা হয়। এ নিয়ে দাতা সংস্থা এবং বিহারী পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকলেও একটি পক্ষ জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। সাধারণ বিহারীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের কাছে কিছু বাড়তি প্যাকেট দাবী করেছিলো মাহমুদ আলী নামে এক ব্যাক্তি। তবে, জয়নুল আবেদীন মাহমুদের এ অনৈতিক আবদার না মানায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে পুলিশ সুপারের নিকট একটি অভিযোগ দেয়।

অভিযোগে মাহমুদ উল্লেখ করেন, দাতা সংস্থা থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ৬ হাজার ইফতারির প্যাকেট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার প্যাকেট আত্মসাৎ করে বাকী তিন হাজার প্যাকেট বিতরন করা হয়। তবে, প্যাকেট আত্মসাতের ব্যাপারে কোন প্রমান দিতে পারেননি মাহমুদ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন জানান, আমাদের প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত স্বচ্ছ। এখানে স্বেচ্ছাচারীতা কিংবা দূর্নীতির কোন সুযোগ নেই। দাতা সংস্থা লিখিত প্যাডে প্যাকেট পাঠিয়েছে। প্রয়োজনে সাংবাদিকদের দাতা সংস্থার সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগেরও অনুরোধ জানান তিনি।

এ সময় তিনি দাতা সংস্থা কর্তৃক পাঠানো একটি চিঠি দেখান সাংবাদিকদের। দাতা সংস্থা আইওআরডব্লিউডির পাঠানো চিটিতেও তিন হাজার ইফাতারির প্যাকেট পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। চিঠিতে সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টও গাজী মাস্তুও হামিদ আল ওয়াইমি প্যাকেট বিতরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে নারাণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন।

দাতা সংস্থার ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা গোলামুল্লার সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তিন হাজার প্যাকেট ইফতারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগকারী মাহমুদ আলী জানান, তিনি অনুমানের ভিত্তিতে এ অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবীর স্বপক্ষে কোন প্রমান নেই বলেও জানান তিনি।

আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন জানান, সম্পূর্ণ ইর্ষান্বিত হয়ে পুলিশ সুপারের বরাবর এ অভিযোগ করা হয়েছে। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করাই ছিলো অভিযোগকারীর উদ্যেশ্য।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/৬:২০পিএম/৩/৬/২০১৯ইং)