• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জে সোর্সদের পাচাঁরকৃত ৪০মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ


প্রকাশের সময় : জুন ১৮, ২০১৯, ৭:০০ PM / ৩১
সুনামগঞ্জে সোর্সদের পাচাঁরকৃত ৪০মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ

নিজেস্ব প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের দুই সীমান্ত থেকে সোর্সদের পাচাঁরকৃত ৪০মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করেছে বিজিবি। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী চিহ্নিত চোরাচালানী ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা হয়নি। এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিনের মতো আজ ১৮.০৬.১৯ইং মঙ্গলবার সকাল ৭টায় টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন জয়বাংলা বাজার ও বড়ছড়া শুল্কস্টেশন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে ২৫ মে.টন কয়লাসহ ৭কার্টন মদ ও ১হাজার পিছ ইয়াবা পাচাঁর করে সোর্স কামাল মিয়া ও ফিরোজ মিয়া। এরপর পাচাঁরকৃত কয়লা চোরাকারবারী শফিক নুর,ফারুক মিয়া ও আলী খানের বাড়িতে নিয়ে মজুত করে। আর মদ ও ইয়াবা সোর্স কামাল মিয়া ও ফিরোজ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। এখবর পেয়ে সকাল ৯টায় টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার লিয়াকত অভিযান চালিয়ে ৩ চোরাকারবারীর বাড়ি থেকে ২০মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করেন। কিন্তু উপরের উল্লেখিত সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী,চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। অপরদিকে গতকাল সোমবার রাত ৮টায় চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক(দীপক),সাইকুল মিয়া,মোফাজ্জল মিয়া,লালঘাট গ্রামের মাদক মামলার আসামী আব্দুল আলী ভান্ডারী,রমজান মিয়া,রুবেল মিয়া,খোকন মিয়া নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে ১বস্তা কয়লা থেকে ১০০টাকা, ১কার্টন মদ থেকে ৫শত টাকা,১পিছ ইয়াবা থেকে ২০টাকা চাঁদা নিয়ে চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে ৩০মে.টন কয়লা ও ১০কার্টন মদসহ ৫হাজার পিছ ইয়াবা পাচাঁর করে। এরপর পাচাঁরকৃত ৩০মে.টন কয়লা বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন সমসারপাড় গ্রামের চোরাকারবারী আলী মিয়ার বাড়ি নিয়ে মজুত করে। আর মদ ও ইয়াবা সোর্স আব্দুল আলী ভান্ডারী,রমজান,দীপক ও সাইকুলের বাড়িতে নিয়ে পৃথক ভাবে লুকিয়ে রাখে। এখবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারী আলী মিয়ার বাড়ির ভিতর থেকে ২০মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করে। এসময় উপরের উল্লেখিত সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী ও চাঁদাবাজরা বিজিবির সাথে থাকলেও তাদেরকে গ্রেফতার করেনি এবং হয়নি থানায় কোন মামলা। অথচ সুবেদার মোনায়েম খান চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকাকালীন সময় সোর্স আব্দুল আলী ভান্ডারীর পাচাঁরকৃত মদের চালান তার নিজবাড়ি থেকে আটক করে সোর্স ভান্ডারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে ছিলেন। এব্যাপারে চাঁরাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার মোকলেছ বলেন,পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়েছে কিন্তু কয়লার মালিক পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট খনি প্রকল্প এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী ইয়াবা ব্যবসায়ী ল্যাংড়া বাবুল,বদিউজামাল,মানিক মিয়াসহ চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা,কড়ইগড়,রাজাই,চাঁনপুর এলাকার সোর্স মাদক মামলার আসামী আবু বক্কর,জম্মত আলী ও রফিকুল নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে লক্ষলক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে ভারত থেকে কয়লা, গরু, মদ, অস্ত্র, ইয়াবা, হেরুইন, নাসিরউদ্দিন বিড়ি,ঘোড়া পাচাঁর করলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানাগেছে। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলম বলেন,সীমান্ত এলাকায় বিজিবির কোন সোর্স নাই,সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী ও চাঁদাবাজদেরকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছেন বড়ছড়া ও চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশনের ব্যবসায়ীরাসহ সুনামগঞ্জ জেলাবাসী।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/৭:০০পিএম/১৮/৬/২০১৯ইং)