• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

সাপের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ হারালো যুবক!


প্রকাশের সময় : মে ৫, ২০১৮, ৯:৪৮ AM / ১৯৮
সাপের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ হারালো যুবক!

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : স্বঘোষিত সাপুড়ে অনিল রায়। কোথাও সাপ দেখা গেছে শুনলে দৌড়ে যান এই যুবক। তবে কথায় আছে- সাপুড়ের মৃত্যু সাপের ছোবলে। এদিন অবশ্য অনিল বাড়াবাড়ি একটু বেশিই করে ফেলেছিলেন। কাল কেউটের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ দিলেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ি বেলতলি এলাকায় এঘটনা ঘটে। খবর : জিনিউজ চব্বিশ ঘণ্টা।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, কাজ সেরে বৃহস্পতিবার পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন হলদিবাড়ি বটেরডাঙা এলাকার বাসিন্দা অনিল। অন্ধকারে তার হাতে ছোবোল মারে একটি কেউটে সাপ। ক্ষত নিয়েই সাপটিকে চেপে ধরে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। যুবকের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এলাকাবাসী।

প্রত্যক্ষদর্শী নরেশ রায় জানান, চিৎকার শুনে এসে এই কাণ্ড দেখার পর খবর দেয়া হয় পুলিশকে। এরপর থানা থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠালে তাকে নিকটবর্তী হলদিবাড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তবে প্রতিবেশি রবি দাস জানাচ্ছেন ভিন্ন কথা। সাপ ধরে সেলফি তোলার পর সাপের মাথায় বাড়ি দেয় অনিল রায়। আর এরপরে কেউটে সাপ ছোবল দেয় তাকে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরে স্বঘোষিত সর্প বিশারদ হিসেবে দাবি করা অনিল রায় এলাকায় সাপ ধরতেন। গত পরশুদিনও সাপ ধরে জঙ্গলে ছেড়ে দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে একটি কেউটে সাপকে রিকশা চাপা দেয়। খবর পেয়েই দোকান ফেলে হলদিবাড়ি বটেরডাঙা এলাকা থেকে বেলতলিতে গিয়ে সাপটিকে ধরেন অনিল রায়। এরপর সাপ গলায় পেঁচিয়ে সেলফি তুলতে থাকেন তিনি। অনিল ওই সময় অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

অনিলকে সাপটি ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন এলাকাবাসী। কিন্তু তিনি কোনো কথা না শুনে মোবাইল দিয়ে বিভিন্নভাবে বার বার ছবি তুলতে থাকেন। একপর্যায়ে সাপটির মাথায় আঘাত লাগে। এরপরই সাপটি ছোবোল মারে অনিলকে।

হলদিবাড়ি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও অনিলের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় রাতেই তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তির জন্য সুপারিশ করা হয়। কিন্তু হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় অনিলের।

হলদিবাড়ি থানার আইসি প্রবীণ প্রধান বলেন, শুক্রবার মরদেহ ময়নাতদন্তর পর পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৯:৪৫এএম/৫/৫/২০১৮ইং)