ঢাকারনিউজ২৪.কম, সাতক্ষীরা : চাহিদা থাকা সত্ত্বেও জেলায় খেসারি ডাল উৎপাদনে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। এক যুগ আগেও খেসারি ডাল উৎপাদনে জেলার বেশ সুনাম ছিল। গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষ এক সময় প্রতি দিনের খাবারে অংশ হিসেবে খেসারি ডাল খেতেন। খেসারির ছাতু ভাতের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হতো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় খেসারির চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে।
সদরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৫০ হেক্টর জমিতে অথচ অর্জিত হয় মাত্র ৯০ হেক্টর জমিতে, কলারোয়ায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪৫ হেক্টর জমিতে, সেখানে অর্জিত হয় মাত্র ২০ হেক্টর জমিতে, তালায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৯৫ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয় মাত্র ১০৪ হেক্টর জমিতে, দেবহাটায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৮ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয় মাত্র ৫ হেক্টর জমিতে, কালিগঞ্জে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৪২০ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয় ১৩৪০ হক্টর জমিতে, আশাশুনিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয় মাত্র ০১ হেক্টর জমিতে, শ্যামনগরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬২৯ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয় মাত্র ৬০০ হেক্টর জমিতে।
খলিষখালীর মঙ্গলানন্দকাটী গ্রামের কৃষক সৈয়দ শেখ জানান, এখন থেকে ২০ বছর আগে ৫-৬ বিঘা জমিতে খেসারির চাষ করতাম। এখন এক থেকে দুই বিঘা জমিতে খেসারির চাষ করি। এমন অবস্থা জেলাব্যাপী।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, গ্রীণ হাউজ এ্যাফেক্ট এর কারণে আগামীতে বিনা চাষের ফসলের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। যাতে পরিবেশে ক্ষতিকর তেমন কোনো প্রভাব না পড়ে। সেই দিক দিয়ে খেসারির ডাল অন্যতম। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বিনা চাষ ও সার ওষুধ ছাড়াই এই ফসলটির উৎপাদন করা সম্ভব।
সাতক্ষীরা খামার বাড়ির কৃষি উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, আমরা কৃষকদের খেসারি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছি। খেসারির রোগ বালাই কম। চাষীরা যাতে খেসারী চাষে আগ্রহী হয় সে বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তারা চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম খেসারি ডালে খাদ্যশক্তি ৩২৭ ক্যালোরি, আমিষ ২২.৯ গ্রাম চর্বি ০.৭ গ্রাম শর্করা, ৫৫.৭ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ৯০ মিলিগ্রাট ফসফরাস ৩১৭ মিলিগ্রাম এবং লোহা ৬.৩ মিলি গ্রাম বিদ্যমান।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৪০এএম/১৫/৩/২০১৮ইং)
আপনার মতামত লিখুন :