• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন

সহপাঠীদের ধার করা বই পড়ে ভ্যান চালকের মেয়ে ইতির সাফল্য


প্রকাশের সময় : মে ৯, ২০১৭, ৬:৩৭ PM / ৪০
সহপাঠীদের ধার করা বই পড়ে ভ্যান চালকের মেয়ে ইতির সাফল্য

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, সিংড়া (নাটোর) : সহপাঠীদের ধার করা বই পড়ে আলোকিত হয়েছেন নাটোরের সিংড়ার পার সাঐল গ্রামের মেধাবী ছাত্রী ইতিরাণী তরফদার। সে এবার এসএসসি পরীক্ষায় কতুয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাবা ভ্যান চালক শ্রী মুকুল চন্দ্র তরফদার। পাঁচ সদস্যের অভাবের সংসারে ইতিরাণীই যেন সকলে চোখের আলো।
সরোজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভূমিহীন হতদরিদ্র এই পরিবার অন্যের জায়গায় ছোট্র একটি মাত্র টিনের ভাঙা ঘরে বসবাস করেন। তাতে একটু বৃষ্টি নামলেই সেও ঘরে আবার পানি জমে। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায়, তাদের তিনবেলা খাবার জুটবে বা কি ভাবে? প্রায়ই ইতিকে না খেয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে। পাকা রাস্তা থাকলেও অভাবের কারণে প্রতিদিন স্কুলে যেতে ৬কিঃ মিঃ পথ হাটতে হয়েছে ইতিকে। সহপাঠীদের ধার করা বই ও শিক্ষকদের সহযোগিতা তার এই সাফল্য এনে দিয়েছে।
মেধাবী ইতি জানায়, ছোট বেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছি। জেএসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছি। তার ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা- মায়ের কষ্ট লাঘব করবে। সে অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকায় ভুগছে। আকুতি তার পড়াশোনা চালাতে সহযোগিতা করার কি কেউ নেই!
ইতির বাবা হতদরিদ্র ভ্যান চালক মুকুল চন্দ্র জানান, সংসারই চলে না মেয়েকে পড়াব বা কি করে? মেয়ের ফলাফল শুনে স্বপ্ন দেখছে সে। কিন্তু হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাবার মতো, সেই স্বপ্ন বুঝি ভেঙে না যায়।
ইতির মা শ্রীমতি দীপালীরাণী জানান, অভাবে কারেণ তার বড় মেয়ে দীপ্তিরাণীকে মাত্র ১২ বছর বয়সে বিয়ে দিতে হয়েছে।
কতুয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব শারদুল ইসলাম জানান, দরিদ্র মেধাবী ছাত্রী ইতিরাণীকে আমরা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছি। সেও অনেক শ্রম দিয়েছে, যার ফলে ভালো রেজাল্ট করতে সক্ষম হয়েছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৬:৩৫পিএম/৯/৫/২০১৭ইং)