• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ন

সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে : সাইফুল হক


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩, ১০:৪৭ PM / ৮৬
সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে : সাইফুল হক

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : ২৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর—রুনি মিলনায়তনে সোনার বাংলা পার্টির ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পার্টির সভাপতি শেখ আব্দুন নুর এর সভাপতিত্বে ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন—অর—রশীদ এর পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন গণপরিষদ আন্দোলন এর প্রধান সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নাজিম উদ্দীন আহমেদ, নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল অবঃ আ ম সা আ আমিন, গণসংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি ম নূরন্নবি, সোনার বাংলা আন্দোলনের আহ্বায়ক সাবেক সচিব কাশেম মাসুদ, ফরওয়ার্ড পার্টির সদস্য সচিব মাহবুবুল আলম চৌধুরী, সোনার বাংলা পার্টির প্রচার সম্পাদক সোলাইমান চৌধুরী, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনেম, বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, সাবেক ছাত্র নেতা ইসমাইল সম্রাট, সোনার বাংলা পার্টির সদস্য শাহআলম প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্রী পার্টির যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক অশোক ধর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মুস্তাক হোসেন, সাবেক ‘৯০ এর ছাত্রনেতা রাজু আহমেদ, সোনার বাংলা পার্টির নারায়ণগঞ্জ শহরের সাধারণ সম্পাদক মো: আজিজসহ সোনার বাংলা পার্টির নেতা—কর্মী বৃন্দ।

সোনার বাংলা পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান মহাসংকটের প্রধান কারণগুলি হলো— দূতাবাসমূখী রাজনীতি, সংবিধান জনগণের না—হওয়া, ভোটাধিকার না থাকা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি অর্থাৎ ৯০বি ধারাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের অগ্রিম স্বাক্ষর কালো আইন, একতরফা নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, রাজনীতিকে কালো টাকার মালিক ও দুর্নীতিবাজদের হাতে তুলে দেওয়া।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ আব্দুন নুর বলেন, সর্বজনীন কল্যাণে ব্যক্তি, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রের আমূল পুনর্গঠনের কর্মসূচি এই ২৮ দফা। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে গড়ে উঠবে এক নতুন বাংলাদেশ এবং তাতে দেশের প্রতিটি নর—নারীর জীবন উন্নতশীল হবে। ২৮ দফা নিয়ে ছাত্র তরুণদের মধ্যে নতুন আশা ও স্বপ্ন দেখা দিলে, তা প্রেরণায় জনজীবনে এক অপরাজেয় শক্তি সৃষ্টি হবে। সেই শক্তির ফলে বাংলাদেশ পৃথিবীতে সমৃদ্ধ উজ্জ্বল প্রগতিশীল রাষ্ট্রের আদর্শ হয়ে উঠবে। জনসাধারণকেই নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল হক বলেন, নির্বাচনের নামে লুটপাট হচ্ছে, নির্বাচনে সকল মন্ত্রী—এম.পি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আয় বেড়ে ২শত, ৩শত গুণ হলফনামায় পাওয়া গেছে। দুর্নীতিকে তারা রাষ্ট্রায়ত্ত করেছেন। দুর্নীতিকে কমাতে হলে ৭২ সালের যে সংবিধান, তা সংস্কার করতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান আমাদের লাগবে। নির্বাচনের নামে সরকার দেশটাকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের ঐক্য দরকার, মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্য করতে হবে।

নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল অবঃ আ ম সা আ আমিন বলেন, ক্ষমতার মধুচক্র ভাঙতে হবে। আদালত পরিবর্তন করতে হবে। একক ক্ষমতার উৎস পাল্টাতে হবে।