• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন

সম্পত্তির জন্য পিতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা


প্রকাশের সময় : জুলাই ৮, ২০১৯, ১১:৩৪ PM / ১০১
সম্পত্তির জন্য পিতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা

নারায়ণগঞ্জ(সদর) সংবাদদাতা : সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় পিতাকে মারধর করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে মেয়ে। ঘটনাটি সিদ্ধিরগঞ্জ থানাথীন দক্ষিণ এনায়েতনগর এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ভূক্তভোগী পরিবারটি।

জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ এনায়েতনগর এলাকায় সাবেক সরকারি কর্মচারী আঃ মালেকের সাথে প্রথম স্ত্রী মমতাজ বেগমের বনিবনা না হওয়ায় এবং স্ত্রী মমতাজ বেগম অন্যত্র চলে যাওয়ায় দ্বিতীয় বিবাহ করে তার ছোট বোন সুফিয়া বেগমকে। কিন্তু প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের কথা চিন্তা করে আঃ মালেক মমতাজ বেগমকে ফতুল্লা থানাধীন তল্লা চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় ২ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে বাড়ি করে দেয়। তারপরও মমতাজ বেগম সন্তানদের লালন পালন না করায় দ্বিতীয় স্ত্রী সুফিয়া বেগম রেখে যাওয়া সন্তান মাসুম, তাছলিমা ও নাসিমাকে মায়ের আদর ভালবাসা দিয়ে বড় করে তুলেন। বর্তমানে মমতাজ বেগমের কূ-প্ররোচনায় সন্তানরা পিতাকে আরো সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাঁপ প্রয়োগে মারধর করে আহত করে বেশ কয়েকবার। গত ২১ জুন বিকেলে পাঠানটুলী দক্ষিণ এনায়েনগর এলাকায় মাসুম, নাসিমা ও তাছলিমা সহ রওশন, তানভীর সঙ্গবদ্ধ হয়ে বাড়ীতে হামলা চালিয়ে সৎ মা সুফিয়া বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং ঐ কুসন্তানরা পিতাকেও মারধর করে আহত করে। উপরোক্ত ঘটনায় আহত সুফিয়া বেগম সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গত ২৩ জুন ৫ জনকে আসামী করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট এবং গুরুতর জখম করা ও ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন সহ চুরি করার অপরাধে মামলা দায়ের হয়। মামলা নং ৪৬, ধারাঃ ১৪০/৪৪৮/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ দঃবিঃ। উক্ত মামলায় ১নং আসামী মাসুমকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তল্লা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠালে উক্ত মামলার অন্যান্য আসামীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এবং বাদী সুফিয়া বেগমকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য জীবননাশের হুমকি দিয়ে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে গত ৫ জুলাই শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে অসুস্থ রোগী আঃ মালেকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্যারালাইসেস রোগী আঃ মালেককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরের দিন ৬ জুলাই মেয়েকে গরম পানি দিয়ে হত্যা চেষ্টা করার অপরাধের অভিযোগ তুলে প্রথম স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত মমতাজ বেগম আঃ মালেক সহ আরো ছয় জনের বিরুদ্ধে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলাটিতে যে ঘটনার দিন তারিখ ও সময় দেখানো হয়েছে তার সত্যতা যাচাই বাছাই না করে মামলাটি থানা পুলিশ গ্রহণ করে আঃ মালেককে গ্রেফতার দেখিয়ে ৬ জুলাই কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৪(১)/৪(২)(খ) দহনকারী গরম পানি নিক্ষেপ করে আহত করার অপরাধে অভিযোগ তুলে মিথ্যা মামলায় ৬ জনের মধ্যে আঃ মালেক ছাড়াও সুফিয়া বেগম, দুলাল, সাকিব, অপু ও মৃদুলকে আসামী করা হয়। মামলা নং ২৪। মামলায় ঘটনার তারিখ দেখানো হয়েছে ১৭ এপ্রিল দুপুর ২ টায় এবং ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে দক্ষিণ কায়েমপুর এলাকায়। উপরোক্ত ঘটনায় ভূক্তভোগী সুফিয়া বেগম জানান, আমাকে ও আমার স্বামী সন্তানদের মারধর করে ক্ষতিগ্রস্থ করলো আবার কাউন্টার মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানী করছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই এবং নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:৩৫পিএম/৮/৭/২০১৯ইং)