• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন

সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তফসিল নয় : বিএনপি


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৪, ২০১৮, ২:৩২ PM / ৫৯
সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তফসিল নয় : বিএনপি

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ চলছে, সেই সংলাপে এখন পর্যন্ত সংকট সুরাহা না হওয়ার আগেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড় করছে নির্বাচন কমিশন-যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমনকি নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মতামতকেও অগ্রাহ্য করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তফসিল পেছানোর আবেদন করা হলেও ইসির সচিব তা অস্বীকার করে বলেছেন তারা কোনো চিঠি পাননি। এ সপ্তাহের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। আমি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-নিজ আইনসঙ্গত ক্ষমতাবলে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিন। রাজনৈতিক সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকুন।

‘একদিকে আলোচনা অন্যদিকে আন্দোলন, এটি আমার বোধগম্য নয়’- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, এখনও তো সেই অর্থে জোরালো আন্দোলন শুরু হয়নি, আপনি সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসন করতে পারলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তো আন্দোলনের পথে যাবে না’।

রিজভী আরো বলেন, সংকট নিরসনের চাবিকাঠি আপনার হাতে। আলোচনার আহবান তো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অব্যাহত আছে। তবে আপনাকে ‘কালের যাত্রার ধ্বনি’ শুনতে হবে। ‘কালের যাত্রার ধ্বণী’হচ্ছে বর্তমানে জনগণের দাবি-যা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা দাবির মাধ্যমে উত্থাপন করেছে। আপনি সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেন তাহলে তো কোনো সংকট থাকার কথা নয়। সংলাপ ফলপ্রসূ করুন, তখন বিরোধী দল আন্দোলনের পথে হাঁটবে না।

রিজভী অভিযোগ করেন, সারাদেশে নির্বাচনী কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার বাছাই করছে পুলিশ। বিভিন্ন থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ তালিকা ধরে ধরে কারা সরকার দলীয় সমর্থক তাদের নাম বাছাই করছে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গিয়ে যাচাই করছে, ফোন করে জিজ্ঞাসা করছে আপনি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য। যদি কোনো শিক্ষক বিএনপি সমর্থক হয়ে থাকে তাকে বলা হচ্ছে আপনার নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের দরকার নেই।

তিনি বলেন, জনগণ এমন কর্মকাণ্ডকে ভোট কারচুপির পূর্বপ্রস্ততি বলেই মনে করছে। সরকারের হুকুমেই এমন নজিরবিহীন কর্মকাণ্ড চলছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার পর এখন দেশজুড়ে গণগ্রেফতারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম,সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/২:৩০পিএম/৪/১১/২০১৮ইং)