• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

ষোলতে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ১১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১, ২০১৭, ৪:২১ PM / ৩৮
ষোলতে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ১১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : ২০১৬ সালে ১১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে বেসরকারী মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোন লি.। যা ২০১৫ সালের তুলনায় প্রায় ৯.৬% বেশি। একই সঙ্গে গত বছর প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২২৫০ কোটি টাকা। যা ২০১৫ তে ছিল ১৯৭০ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানী একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গ্রামীণফোনের সিইও পেটার ফারবার্গ।

পেটার ফারবার্গ বলেন, ২০১৬ সালে নতুন গ্রাহক এবং সেবা থেকে অর্জিত রাজস্ব (আন্তসংযোগ আয় ব্যতীত) বেড়েছে ১২ শতাংশ। সেই সাথে ডাটা রাজস্বের প্রবৃদ্ধিও অব্যাহত ছিল। ডাটা থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ৬৯.৭-%,। ডাটা গ্রাহক ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে ১৬৭.৯%। ব্যবহৃত মিনিটের পরিমাণ বাড়ার ফলে ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ৫.১%। চতুর্থ প্রান্তিকে নতুন গ্রাহক ও ট্রাফিক রাজস্ব (ইন্টারকানেকশন বাদে) ২০১৫ এর একই সময়ের তুলনায় ১২.২% বেড়েছে।

তিনি বলেন, গ্রামীণফোন ৫ কোটি ৮০ লাখ স্বক্রিয় গ্রাহক নিয়ে বছরটি শেষ করেছে। যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২.২%। গত বছর গ্রামীণফোনে যুক্ত হয়েছে ৮৮ লাখ ডাটা গ্রাহক। এর ফলে মোট গ্রাহকের ৪২.৩% ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে।

গ্রামীণফোনের সিইও  বলেন, ‘২০১৬ ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের জন্য একটি সার্বিক সাফল্যের বছর। ডাটা রাজস্বের অব্যাহত প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি ভয়েস খাতেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই বছর আমরা সাফল্যের সাথে বায়োমেট্রিক যাচাই প্রক্রিয়া ও ৯০% সাইটে ৩জি পৌঁছে দিতে পেরেছি। ভবিষ্যতে আমরা এক বছর আগে স্থির করা প্রমাণিত কৌশলগত অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ অব্যাহত রাখবো এবং সম্মানিত শেয়ারেহাল্ডারদের জন্য মূল্য সংযোজন করবো।’

তিনি আরো বলেন, আয়কর প্রদানের পর ২০১৬ এ মুনাফা হয়েছে ২২৫০ কোটি টাকা। যা ২০১৫ তে ছিল ১৯৭০ কোটি টাকা। উচ্চ রাজস্ব আয় এবং দক্ষ পরিচলন ব্যয়ের কারণে এবছর EBITDA (অন্যান্য আইটেমের আগে) হয়েছে ৫৫.৩% মার্জিন সহ ৬৩৮০ কোটি টাকা। এবছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৬.৬৮ টাকা।

গ্রামীণফোনের সিএফও দিলীপ পাল বলেন, ‘গ্রামীণফোন দৃঢ় টপ লাইন এবং পরিচলণ দক্ষতা উদ্যোগ সমূহের কারণে ১৪.৩% রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ৯.৬% রাজস্ব প্রবৃদ্ধির বিপরীতে বড় ধরনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ সত্বেও পরিচলণ ব্যয় মাত্র ৬.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২.০% মার্জিন বৃদ্ধিসহ EBITDA (অন্যান্য আইটেমের পূর্বে) বেড়েছে ১৩.৮%।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি এবং পরিচলণ দক্ষতা কোম্পানিকে ভবিষ্যতে লাভজনক থাকতে সহায়তা করবে। বোর্ড অফ ডিরেক্টরস আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শেয়ার প্রতি ৯ টাকা লভ্যাংশ সুপারিশ করেছেন।’

গ্রামীণফোন ২০১৬ এ তার ৩জি নেটওয়ার্ক স্থাপন, ২জি নেটওয়ার্ক এর মানোন্নয়ন এবং আইটি অবকাঠামোর দক্ষতা বৃদ্ধিতে ২১১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এদিকে দেশের বৃহত্তম কর দাতা গ্রামীণফোন ২০১৬ সালে সরকারী কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে ৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা দিয়েছে যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৫১.০ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ এ অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামীণফোন লি. এর পরিচালকরা ২০১৬ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ৯০ শতাংশ (প্রতিটি ১০ টাকার শেয়ারের জন্য ৯ টাকা) চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর ফলে ২০১৬ সালের জন্য মোট নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ দাড়ালো পরিশোধিত মূলধনের ১৭৫ শতাংশ। এই লভ্যাংশ ২০ এপ্রিল ২০১৭ এ অনুষ্ঠিতব্য ২০তম বার্ষিক সাধারণ সভার দিন শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৪:১৭পিএম/১/২/২০১৭ইং)