• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন

শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মামলায় খালাস দুই ব্যবসায়ী


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৪, ২০১৭, ২:০৬ PM / ৪৪
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মামলায় খালাস দুই ব্যবসায়ী

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

বহুল আলোচিত ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের হওয়া প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলায় খালাস পেয়েছেন দেশের শীর্ষ পর্যায়ের দুই ব্যবসায়ী। তাঁরা হলেন ব্যাংক এশিয়া ও র‌্যাংগস গ্রুপের চেয়ারম্যান এ রউফ চৌধুরী এবং এইচআরসি গ্রুপ ও ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী।

পুঁজিবাজার-সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আকবর আলী শেখ গতকাল রোববার এই দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। পাশাপাশি মামলার অভিযোগ থেকে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।

এই মামলায় অভিযুক্ত অপর দুই আসামি মসিউর রহমান ও অনু জায়গিরদারের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। ফলে দুই অভিযুক্ত আসামিকে বাদ দিয়েই মামলার বিচার কার্যক্রম এগিয়ে নেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন।

মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অভিযুক্ত দুই ব্যবসায়ী শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি নিজেদের সম্পৃক্ত না থাকার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এদিকে মামলার বাদী পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে ট্রাইব্যুনালে নিযুক্ত আইনজীবী মাসুদ রানা সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর তা বিএসইসিতে দাখিল করা হবে। এরপর বিএসইসি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রউফ চৌধুরী ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন মসিউর রহমান। এইচআরসির সাঈদ হোসেন চৌধুরী এবং অনু জায়গিরদার ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। ৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মালিকানার হাতবদল হয়ে যায়।

ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীসহ একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের জুনে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর ৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ১৫টি মামলার মধ্যে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলাটি প্রথম মামলা হিসেবে ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য আসে। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই ট্রাইব্যুনাল প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলাটি আমলে নেয় এবং চার্জ গঠন হয় ৯ জুলাই।

প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে আসামিরা সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। যেসব লেনদেনের বড় অংশই ছিল মিথ্যা বা প্রতারণামূলক।

৯৬ সালের প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ ছিল ডিএসইর শীর্ষ পর্যায়ের ব্রোকারেজ হাউস ও ডিভিপির (ডেলিভারি বনাম পেমেন্ট) মাধ্যমে বিদেশিদের শেয়ার লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান। ওই বছরের জুলাই থেকে নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে। যার মধ্যে ডিভিপি লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৬ কোটি টাকা। বিদেশি ডিভিপিতে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ ২১ লাখ ৪৩ হাজার শেয়ার বিক্রি করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কেলেঙ্কারির ঘটনার পর তদন্ত কমিটি ডিএসই নথিতে খুঁজে পায় প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছে। আর ব্যাংক নথিতে দেখতে পাই ২ লাখ ৩৪ হাজার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ০২.০৫পিএম/২৪//২০১৭ইং)