• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

শুল্ক কমানোর দাবি পুরোনো গাড়িতে


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২০, ২০১৭, ২:১৪ PM / ৩১
শুল্ক কমানোর দাবি পুরোনো গাড়িতে

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

আমদানি করা পুরোনো গাড়িতে শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। বিশেষ করে শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতে বেশি সিসির গাড়িতে সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছে এই সংগঠন।
সংগঠনটির প্রস্তাবে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়িতে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক এবং ১৫০১ থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত ১০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে ২০০১ থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত ২০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে ২০০১ থেকে ২৭৫০ সিসি পর্যন্ত ২০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক রয়েছে। অন্যদিকে ৩০০১ সিসি থেকে ৪৬০০ সিসি পর্যন্ত ৩৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব বারভিডার। বর্তমানে ২৭৫১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত ৩৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক রয়েছে। ৪৬০১ সিসির বেশি সিসির গাড়িতে ৫০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন ৪০০০ সিসির বেশি হলে ৫০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়। গাড়ি আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক থেকেই বেশি রাজস্ব আদায় হয়।
এ বিষয়ে বারভিডার সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, এ পর্যন্ত এনবিআরের গোয়েন্দারা যত গাড়ি ধরেছেন, তার সবই অনেক বেশি সিসির গাড়ি। বেশি সিসির গাড়িতে শুল্ক কমালে শুল্ক ফাঁকির প্রবণতা কমে আসবে। বেশি শুল্কের কারণেই অন্য পথ বেছে নেয় একশ্রেণির মানুষ।
এ ছাড়া গাড়ির অবচয় হার পুনর্বিন্যাসেরও দাবি জানিয়েছে বারভিডা। বারভিডার সুপারিশ হলো—যে বছর গাড়ি তৈরি হবে, সেই গাড়ি আমদানি হলে অবচয় সুবিধা শূন্য হারে হবে। এ ছাড়া প্রথম বছরের জন্য ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরের জন্য ৩০ শতাংশ, তৃতীয় বছরের জন্য ৪০ শতাংশ, চতুর্থ বছরের জন্য ৪৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরের জন্য ৫০ শতাংশ অবচয় সুবিধা থাকবে। অবচয় সুবিধা হলো গাড়ির শুল্কায়নযোগ্য মূল্য থেকে যে অবচয় হার বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ির মূল্য থেকে ৩৫ শতাংশ বাদ দিয়ে অবচয় সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বারভিডা।
এর আগে পরিবহন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ বেশ কয়েকটি খাতের সঙ্গে প্রাক্-বাজেট আলোচনা হয়। সে আলোচনায় ইন্টারনেট সেবার ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, সারা দেশে ২ কোটি ৩৩ লাখ লোক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেন। এর মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের এলাকারই ২ কোটি ২০ লাখ। দেশের অন্যান্য এলাকায় বাকি ১৩ লাখ লোক ফেসবুক ব্যবহার করেন। ইন্টারনেটের দাম বেশি হওয়ায় এই বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে।
টায়ার আমদানিতে ট্যারিফ মূল্য সাড়ে তিন ডলারের পরিবর্তে আড়াই ডলার নির্ধারণের সুপারিশ করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে পরিবহন খাতে বিশৃঙ্খলা চলছে। এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হলে সব ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হবে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ০২.১১পিএম/২০//২০১৭ইং)