• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন

শিক্ষা, রাজনীতি, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে একজন ‘ইব্রাহীম স্যার’এর পদচারণা(ভিডিও)


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৫, ২০১৯, ২:৫৯ PM / ৬৯
শিক্ষা, রাজনীতি, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে একজন ‘ইব্রাহীম স্যার’এর পদচারণা(ভিডিও)

 

সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লার পঞ্চবটিতে অবস্থিত মুসলিম নগর হাজী আব্দুল মালেক কাজী আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম ইব্রাহীম। ইব্রাহীম স্যার নামেই যিনি সর্বত্র পরিচিত। একাধারে শিক্ষকতা, রাজনীতি, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সমাজ সেবায় যিনি অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। প্রিয় পাঠক, আমাদের ঢাকারনিউজ এর বিশেষ সাক্ষাৎকার বিভাগের এবারের পর্ব ইব্রাহীম স্যারকে নিয়ে।

 

এ.কে.এম ইব্রাহীম বর্তমানে মুসলিম নগর হাজী আ. মালেক কাজী আ. মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল এর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি, সদর উপজেলা শিক্ষা ও শিক্ষক-কর্মচারি উন্নয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ফুলকুঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

 

১৯৮০ সালে নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে সরকারি তোলারাম কলেজে ভর্তি হন তিনি। এখান থেকেই তার ছাত্র রাজনীতির শুরু। ৮৪’তে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ৮৬’ তে তোলারাম কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। স্নাতক পাশ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেই জড়িয়ে পড়েন সাধারন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে। ৮৮’তে তিনি জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি হরিহরপাড়ার ‘হোসেন পার্ল এন্ড পেপারর্স’ এর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব নেন। এভাবেই তিনি ছাত্র থেকে শুরু করে সাধারন মানুষদের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে একজন দক্ষ নাবিক হয়ে উঠেন। হয়ে উঠেন অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষের ভরসা। তবে শিক্ষকতা পেশা তাকে ‘ইব্রাহীম স্যার’ নামেই পরিচিত করে তুলে।

 

সম্প্রতি তিনি বিপুল ভোটে ১০৫৬ সদস্য বিশিষ্ট সদর উপজেলা শিক্ষা ও শিক্ষক-কর্মচারি উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বহুল আলোচিত এ নির্বাচনে জয়ী হবার পর দায়িত্ব বেড়ে গেছে আরা বহুগুণ।

 

এ প্রসঙ্গে এ.কে.এম ইব্রাহীম বলেন- ‘এই সংগঠনটি আওতাভুক্ত সকল শিক্ষক ও তৃতীয়-চতূর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কল্যাণে করা হয়েছে। সদস্যদের মাসিক চাঁদা থেকেই এর মূল আয়। শিক্ষকরা চাকরি জীবন শেষে এই সমিতি থেকে প্রাপ্ত অর্থ হাতে নিয়ে অবসরে যেতে পারছে। ফলে তারা কারো কাছে বোঝা হচ্ছেনা। তাছাড়া অচীরেই আমরা সংগঠনের আওতাভুক্ত বিভিন্ন স্কুলের দুস্থ অসহায় শিক্ষকদের পাশে আর্থিক সুবিধা নিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’

 

ছাত্র রাজনীতি থেকে শ্রমিক রাজনীতি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কথা বলেছেন তিনি সাধারন মানুষের পক্ষে। লড়াই করেছেন সাধারন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। তবে রাজনীতিটাকে আদর্শের জায়গা উল্লেখ করে প্রতিটি পেশাতেই তিনি স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বলে জানান।

 

মুসলিম নগর নয়া বাজার এলাকায় মাথা ‍উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা এ জনপ্রিয় স্কুলটির শিক্ষার মান উন্নয়নে যুগপোযুগি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে বরাবরই ‍প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন সবার প্রিয় ইব্রাহীম স্যার। শ্রেণীতে ১০০ভাগ উপস্থিতি থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, স্কুলকে কোচিং বাণিজ্যের স্পর্শে আসতে না দেয়া সহ অসংখ্য যুগপোযুগি নানা উদ্যোগ নেয়া হয় এই স্কুলটিতে।

 

এদিকে ফুলকুঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবেও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রেখে চলেছেন তিনি বিশেষ ভূমিকা। একদিকে শিক্ষকতা করে তিনি জাতি গঠনে যেমন বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন, অন্যদিকে ছাত্র-শ্রমিক-শিক্ষক-কর্মচারী তথা সাধারন মানুষের অধিকার আদায়ে রেখে চলেছেন অসামান্য ভূমিকা। পাশাপাশি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তার পদচারণা তাকে পরিচিত করে তুলেছে অসাধারন একজন মানুষ হিসেবে। সব মিলিয়ে ছোট্ট এ এলাকায় ইব্রাহীম স্যার জনপ্রিয়তা কোনো সেলিব্রিটির চেয়ে কম নয়।

ভিডিও সংবাদটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন- 

https://www.youtube.com/watch?v=XnpAp8TXEMI&feature=youtu.be

 

 

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৩:০০পিএম/৫/১০/২০১৯ইং)