• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

শিক্ষক মহাজোটের ৩ দফা দাবি


প্রকাশের সময় : মে ৫, ২০১৭, ১০:০৬ PM / ৪৮
শিক্ষক মহাজোটের ৩ দফা দাবি

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন দফা দাবি  জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট। আগামী ৩০ মে`র মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেয়া হয়।

শুক্রবার  ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সম্প্রসারিত মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবেরা বেগম।

শিক্ষক মহাজোটের ৩ দফা দাবির মধ্যে ১, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রধান শিক্ষকদের কেবলই নিচের ধাপে নির্ধারণ করা। ২, সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ করে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মহাপরিচালক পদ পর্যন্ত শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির সুযোগ প্রদান করা। ৩, নন-ভ্যাকেশনাল ডিপার্টমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য অর্জিত ছুটির বিধান প্রণয়ন করা।

এসব দাবি আদায়ে ১০ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত  সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ৩০ মে`র মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে সাবেরা বেগম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঘোষণায় প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করেছিলেন। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী শিক্ষক ও শিক্ষা বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ঘোষণায় ২৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করেন। প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষকদের বেতন-বৈষম্য দূরীকরণসহ ন্যায্য দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক শিক্ষার মান উন্নয়নে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার ব্যতিত আর অন্য কোন সরকার সঠিকভাবে বিবেচনা করেনি। ফলে বার বারই শিক্ষকরা উপেক্ষিত হয়েছে।

শিক্ষক নেতাদের দাবি, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে আর্থিক সমতা স্থাপন করে কর্মক্ষেত্রে সুন্দর পরিবেশও শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার সুযোগ তৈরী করতে হবে। শিক্ষকদের সামাজিক; অর্থনৈতিক মান উন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। ২০১৪ উন্নিত বেতন স্কেল এমনভাবে প্রদান করা হয়েছে যাতে করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বেতনের পার্থক্য দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। ফলে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত শতভাগ পদোন্নতি চালুর করার দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সামছুদ্দীন, শিক্ষক নেতা জনাব মোজাম্মেল হক, এ.কে.এম খসরুজ্জামান, ইব্রাহীম খলিল, মো. মোকাম্মেল হোসেন, শহীদুল ইসলাম, মাহবুব হাসান রাজু, গাজী সালাউদ্দিন, মো. সেলিম হোসেন, নুর ইসলাম, গোফরান মোস্তফা, আমিনুল ইসলাম বাবু, চন্দ্র বিধান, রহিম ফেরদৌস, মাসুদ রানা, মুনসুর আলম টিপু, তূর্য বসুনিয়া, সুনীল দেবনাথ, ফরিদউদ্দিন, নাজমুল হোসেন, শিরিন আক্তার, রওশন বেগম, অভিজিৎ মৃধা, দিলীপ কুমার, মাহাবুব হোসেন, কবিরউদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, হারুন-অর-রশিদ জুয়েল, আমিনুল ইসলাম, জাকির হোসে

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ১০.০৮পিএম/০৫//২০১৭ইং)