• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন

‘রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ না করে গণবিচ্ছিন্ন সরকার নিশ্চুপ’


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭, ১:১০ PM / ৪৭
‘রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ না করে গণবিচ্ছিন্ন সরকার নিশ্চুপ’

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ না করে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের হত্যা-বর্বর নির্যাতন বন্ধ এবং বাংলাদেশে তাদের খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশে সেনাবাহিনী আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের নির্মম নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা করছে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে সমগ্র বিশ্ব রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে, প্রতিবাদ করছে, কিন্তু বাংলাদেশের সরকার যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নাই, বিনা ভোটে নির্বাচিত গণবিচ্ছিন্ন এ সরকার নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সময়ের কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘তিনি তখন কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করেছিলেন। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে আজকে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কূটনৈতিক দিক থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে নাই। কারণ এ সরকার জনগণের সরকার নয়। গণবিচ্ছিন্ন এ সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। আমাদের দাবি, রোহিঙ্গাদের এখন আশ্রয় দিয়ে পরে কূটনৈতিকভাবে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করা হোক শরণার্থী রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফিরিয়ে নিতে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে প্রতিদিন রোহিঙ্গাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন জানিয়ে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নেত্রী চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন। সেখান থেকে প্রতিদিন রোহিঙ্গাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তার নির্দেশেই আমরা মানববন্ধন করছি। এখানেও সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।’
একই মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘মিয়ানমারে সংঘটিত ঘটনা জগন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এমন পরিস্থিতি বিএনপির শাসনকালেও দু’বার সংঘটিত হয়েছিল। শান্তি চুক্তি ও কূটনৈতিক তৎপরতায় জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া বার্মাকে বাধ্য করেছিলেন লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।’
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১:১০পিএম/৮/৯/২০১৭ইং)