• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশিয়ান নেতাদের তোপে সু চি


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৯, ২০১৮, ২:৫২ PM / ২৭
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশিয়ান নেতাদের তোপে সু চি

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : মিয়ানমারের চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জোটের নেতারা। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র উপস্থিতিতেই জোটের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নেতারা এমন আহ্বান জানিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত আশিয়ান সম্মেলনে সদস্যভুক্ত দেশ সমূহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

আশিয়ান গ্রুপের তিনদিনের এই সম্মেলনে রোববার রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুটি প্রাধান্য পায়। সু চি উপস্থিত নেতাদের তোপের মুখে পড়লেও অভিযোগ পাশ কাটিয়ে উল্টো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করেন।

যদিও বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি এমন অবিচারের জন্য মিয়ানমার সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

নাজিব বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমেরা যে পরিমাণ অত্যাচার ও কষ্ট ভোগ করছে তা ওই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেবে। কেননা, সব হারা এসব মানুষ সহজেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে।

মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষ নিদারুণ কষ্টের মধ্যে রয়েছে বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। সংকট নিরসনে মিয়ানমার সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানান তিনি। সোমবার সকালেও ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সঙ্গে অং সান সু চি সাক্ষাত করেন।

এসময় তিনি বাংলাদেশের আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের নেত্রীকে আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সু চি সরকারের সদিচ্ছা থাকলে মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রস্তুত বলেও আশ্বাস দেন টার্নবুল।

গত বছরের আগষ্টে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নামে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম নির্যাতন চালালে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। যদিও এই নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখেও বরাবরই নীরব থেকেছেন শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সুচি। যার কারণে তাকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও হারাতে হয়।

১৯৬৭ সালে ১০ দেশ নিয়ে গঠিত আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো হলো ব্রনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। ১৯৭৪ সাল থেকে জোটটির আলোচনা সহযোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় অস্ট্রেলিয়া।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/২:৪৮পিএম/১৯/৩/২০১৮ইং)