• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন

রাজীব গান্ধীর মতো মোদিকেও হত্যার ষড়যন্ত্র!


প্রকাশের সময় : জুন ৯, ২০১৮, ১১:০০ AM / ১৪৫
রাজীব গান্ধীর মতো মোদিকেও হত্যার ষড়যন্ত্র!

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : রাজীব গান্ধীর কায়দাতেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুন করার চক্রান্ত হয়েছিল। এমনটাই দাবি করেছে পুনের পুলিশ। সেখানকার আদালতে তারা জানিয়েছে, মাওবাদী সন্দেহে আটক এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া চিঠিতে এই তথ্য জানা গেছে।

আবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসকে হুমকি দিয়ে দুটো চিঠি পাঠিয়েছে মাওবাদীরা। গত সপ্তাহে চিঠি দুটি পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্প্রতি গড়ছিরৌলিতে অভিযান চালানোয় ৩৯ জন মাওবাদী নিহত হয়। তার পরই ওই চিঠি।’

ফডণবীস জানান, ওই চিঠি থেকে আরও বেশ কিছু তথ্য মিলেছে।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মাওবাদী যোগসাজশের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুনে পুলিশ। দায়রা আদালতের কাছে পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচজনই জানুয়ারিতে ভিমা-কোরেগাঁও দলিত বিক্ষোভে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে রনা উইলসন রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি সংক্রান্ত একটি কমিটির সদস্য। মোদিকে হত্যার ছকসহ চিঠিটি পাওয়া গেছে তারই দিল্লির বাড়ি থেকে।

সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বলা পওয়ার আদালতে জানান, চিঠিটিতে লেখা রয়েছে, এম-৪ রাইফেল ও চার লক্ষ গুলি জোগাড় করতে ৮ কোটি টাকার প্রয়োজন। রাজীব হত্যাকাণ্ডের মতো আর একটি হত্যা করতে হবে, সে কথার উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। চিঠির একটি অংশে লেখা হয়েছে, ‘বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে হার হলেও ১৫টিরও বেশি রাজ্য বিজেপির দখলে। এই গতিতে যদি চলতে থাকে, দলের সব শাখাকেই প্রবল সমস্যায় পড়তে হবে…। মোদি যুগ শেষ করতে কয়েকজন প্রবীণ নেতা এই প্রস্তাব এনেছেন।’

অভিযুক্তদের আইনজীবীর দাবি, পুলিশ যে চিঠি দেখাচ্ছে, সেটি ভুয়া। আটক পাঁচজনকে ফাঁসানো হচ্ছে। সরাসরি সে কথা না বললেও, একই সুর গুজরাটের বিধায়ক জিগ্নেশ মেবানীর গলায়। ভিমা-কোরেগাঁও সংঘর্ষে মূল অভিযুক্ত দুই হিন্দুত্ববাদী নেতা মিলিন্দ একবোটে ও সম্বাজি ভিড়ে এখনও অধরাই। টুইটারে গতকাল সেই খোঁচাই দিয়েছেন জিগ্নেশ। লিখেছেন, ‘এসব দলিত আন্দোলনের ওপর আক্রমণ।’

এ বিষয় নিয়ে মহারাষ্ট্রের দলিত নেতা ও মোদির মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালের মন্তব্যও কংগ্রেসের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তিনি গতকাল মন্তব্য করেন, ‘অম্বেডকরের অনুগামীরা মাওবাদী হতে পারেন না। ভিমা-কোরেগাঁও দলিত বিক্ষোভে কোনও মাওবাদী যুক্ত ছিল না। তবে দেশ বিরোধীরাই মোদিকে হত্যার চক্রান্ত করতে পারে।’

এরপরই কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘মোদির মন্ত্রী নাকি তদন্তকারীরা ঠিক কথা বলছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না।’

আর কংগ্রেসের সঞ্জয় নিরুপমের দাবি, ‘যখনই মোদির জনপ্রিয়তা কমে যায়, তখনই হত্যার ছকের কথা বলা হয়। চিঠিকে মিথ্য বলছি না। তবে এই বিষয়টাও দেখা দরকার।’

হত্যার চিঠির কথা প্রকাশ পেতেই অরুণ জেটলি ব্লগে লিখেছেন, ‘মাওবাদী কার্যকলাপ বাড়ছে। সব দলেরই উচিত বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা।’ নামেন রামদেব, শ্রী শ্রী রবিশঙ্করও টুইট করে উচ্চ স্তরের তদন্তের দাবি করেন। মোদিকে খুনের ছক নিয়ে রাজনীতির ওপরে উঠে সব দলকে সহযোগিতার আর্জি জানান তারা।

তবে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘নিরাপত্তা সংস্থা তাদের কাজ করবে। আদালতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক।’

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৫৫এএম/৯/৬/২০১৮ইং)