• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:০২ অপরাহ্ন

রাজধানীতে মানবপাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৬, ২০১৭, ৭:৫৫ AM / ৩৬
রাজধানীতে মানবপাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

কানাডায় জনশক্তি পাঠানোর নাম করে ভারতে পাচারের পর মুক্তিপণ আদায়কারী আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের ৩ সদস্যকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

জানা গেছে, নরসিংদীর মনোহরদী থানার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবদুস সোবহান আকন্দের ছেলে হাবিবুর রহমান আকন্দ রাসেল (৩৮) পাচারের শিকার হন। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন, তামান্না ফারহানা (২৯), সাইদুল বাশার জাবের (৪৪) ও মফিজুল ইসলাম (৫৫)।

র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, আসামি সাইদুল বাশার জাবের পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে হাবিবুর রহমান আকন্দ রাসেলকে কানাডায় উচ্চতর বেতনে চাকরি এবং উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখায়। তাকে ১৮ লাখ টাকা দিলে সে ভিসা প্রক্রিয়াকরণসহ কানাডা ইমিগ্রেশনের যাবতীয় বন্দোবস্ত করার কথা বলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বনানীর রোড-১৭, হাউজ-৩, ব্লক-ই, লেভেল-৫, ‘গ্লোবাল এক্সপ্রেস’ অফিসে নিয়ে যায়।

সেখানে সাইদুল বাশার  রাসেলকে তামান্না ফারহানার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। প্রাথমিকভাবে পাসপোর্ট ও ১ লাখ টাকা দিলে ভারতের ভিসার ব্যবস্থা করে তাকে সেখানে নিয়ে যাবে এবং ভারতে যাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে দিল্লি থেকে ভিসা প্রসেস করে কানাডার ফ্লাইটের টিকেট দেবে বলে জানায়। এ ছাড়া অবশিষ্ট টাকা কানাডা পৌঁছার পর দিতে হবে বলে জানানো হয়।

চুক্তি মোতাবেক রাসেল তামান্নাকে নগদ ১ লাখ টাকা প্রদান করে। গত ৪ মার্চ রাসেলকে ভারতের কলকাতায় পাঠানো হয়। তামান্নার সূত্রে অমিত এবং রাজেশ নামে ২ জন লোক রাসেলকে কানাডায় ফ্লাইট দেয়ার কথা বলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখে।

এরপর শুরু হয় মারধর, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং প্রাণনাশের হুমকি। মারধরের কারণে পরিবারকে ফোন করে রাসেল বলতে বাধ্য হয় ‘আমি কানাডা পৌঁছে গেছি, আমি ভালো আছি, তামান্না এবং জাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বাকী টাকা পরিশোধ করে দাও’।

এরপর রাসেলের পরিবার তামান্না ও জাবেরের দেয়া বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। মুক্তিপণের টাকা বুঝে পাবার পর রাসেলকে হাত-পা বেঁধে দিল্লির কাছে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে যায় অপহরণকারীরা। পরে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সহায়তায় রাসেলকে গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়।

মিজানুর রহমান জানান, পলাতক আসামি আল আজাদ (২৮) পাচারকারী চক্রের মূলহোতা। তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়ার থানার বোয়ালিয়ায়। সে বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান করে মানবপাচার চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করছে। মানবপাচার চক্রের বাংলাদেশে অবস্থানরত সদস্যদের সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত অমিত এবং রাজেশ চক্রের সমন্বয় করে থাকে সে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ০৭.৫৪এএম/২৬//২০১৭ইং)