• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

রহস্যময় গোলাপি বল:মিরাজ


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ১১:৩৪ AM / ৪৮
রহস্যময় গোলাপি বল:মিরাজ

শরীরজুড়ে গোলাপি রং, মাঝের সিম কালো সুতোয় গাঁথা, ভেতরে শক্ত কর্ক। বাহ্যিক শৌর্য টকটকে, একেবারে রূপসী। কিন্তু এই রূপ দিয়ে গোলাপি আড়াল করে রেখেছে তার ভেতরের পেটা গড়ন। মেহেদী হাসান মিরাজ সোমবার বল ও ব্যাট করে এসে জানান, গোলাপি বলটা বেশ শক্ত। লাল বলের মতো কোমল নয়। ব্যাটের আগায় লাগলে দ্রুত ছুটে যায় বাউন্ডারি লাইনের দিকে। বল পিচ করার পর ধেয়ে যায় ব্যাটসম্যানের দিকে। সিমের ওপর পিচ করাতে পারলে সুইং ও টার্ন পাওয়া যায়। বলটা পুরোনো হলে আচরণ কেমন হবে, গত দুই দিনের অনুশীলনে জানা হয়নি। এসজির গোলাপি বলে ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব তো আছেই। টাইগারদের কাছে গোলাপি বল এখনও তাই রহস্যময়। ইডেনে দিবারাত্রির টেস্ট শুরুর পর এই রহস্যের উন্মোচন করবেন তারা। ভারতের ক্রিকেটারদের কাছেও গোলাপি বল অচেনা। অন্তত এ একটি জায়গায় দুই দলের দারুণ মিল। কারণ স্বাগতিকরাও এই প্রথম গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট খেলবে। যে দলের খেলোয়াড়রা দ্রুত গোলাপি বলে মানিয়ে নিতে পারবে, কলকাতা টেস্টে সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে তারাই।

রোববার ১০ ক্রিকেটার গোলাপি বলে ইন্দোরে অনুশীলন করেন। স্কোয়াডের সবাই হলকার স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করেছেন। প্রথম টেস্টের পিচও টাইগারদের অনুশীলনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। সেশন শেষে মিরাজ জানালেন, ‘ব্যাটিং করার সময় বলটা একটু মুভ করছিল। আমার কাছে মনে হয়, বলটা একটু ভারী, ব্যাটে লাগলে খুব দ্রুত যায়। আর গোলাপি বলে প্রথম দিকে সুইং থাকতে পারে একটু বেশি। দেখলাম মাঝে মাঝে বল কাটও করছে। তবে ম্যাচে যাওয়ার পরই বলা যাবে প্রকৃতই কেমন আচরণ করে গোলাপি বল।’

বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ফর ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) থেকে অনেকগুলো এসজি গোলাপি বল পেয়েছে বাংলাদেশ দল। দুই দিনের ছয় ঘণ্টার অনুশীলনে একটি বলও পুরোনো হয়নি। এ কারণে বিকল্প পন্থায় বল যাচাই করে দেখেছেন ক্রিকেটাররা। মিরাজ বলছেন, ‘আমরা দিনে ও রাতে অনুশীলন করেছি। ম্যাচের আগে যে কয়দিন আছি করব। পেস বোলাররা কেমন সুবিধা পাবে, এসব আসলে আরও দু-একদিন অনুশীলনের পর বুঝতে পারব। অবশ্যই ভিজে গেলে স্কিডটা বেশি করবে মুভ করার চাইতে।’

প্রস্তুতি যেমনই হোক, গোলাপি বলের রহস্য উন্মোচন না হলেও ক্রিকেটাররা দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচটি নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত। এমন একটা ম্যাচ আবার কবে খেলার সুযোগ হবে, জানা নেই তাদের। তাই ইডেনের ঐতিহাসিক ম্যাচকে উপভোগ্য করে তুলতে চান তারা। মিরাজ জানালেন, তাদের মধ্যে বাড়তি রোমাঞ্চ কাজ করছে। নতুন অভিজ্ঞতার মিশনে স্বাভাবিক ও সাবলীল থেকে ম্যাচটি খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। এই নতুনত্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোচিং স্টাফও সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন খেলোয়াড়দের।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১১:৩১এএম/১৯/১১/২০১৯ইং)