• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

যে সব অাসন জাপাকে ছেড়ে দিল অাওয়ামী লীগ…


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৪, ২০১৮, ৫:১৩ PM / ৭০
যে সব অাসন জাপাকে ছেড়ে দিল অাওয়ামী লীগ…

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ : আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতা প্রায় চুড়ান্ত। এরশাদের চাওয়া ৬০টি আসনের বিপরীতে ৫৮ আসনে ছাড় দেয়ার প্রাথমিক আভাস দিয়েছে সরকারি দল। তবে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ১১টায় গণভবন থেকে ৫৮টি নয় ৫২টি আসনে এরশাদের জাপাকে ছাড় দেয়ার আভাস দেয়া হয়েছে। গেলো দু’দিন দফায় দফায় বৈঠক আর দরকষাকষির পর শুক্রবার রাতে চুড়ান্ত করা হয়েছে জাপার আসন বন্টনের হিসেব-নিকেষ। সরকার দলের বিশেষ কমিটি ও বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী মাঠে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তার বিচার-বিশ্লেষণ করেই মহাজোটের শরিকদের ছাড় দেয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ। তবে এক্ষেত্রে বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঠের অবস্থান বিচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থীর অবস্থান ভাল সেসব আসনে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হয়নি। ক্ষমতাসীনদের দুর্বল প্রার্থী অথবা বির্তকিত ব্যক্তিকে এড়িয়ে জোট শরিকদের সন্তুষ্ট করা হয়েছে বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকার দলীয় একটি সূত্র। অন্যদিকে মাঠের রিপোর্ট অনুযায়ী বিরোধ বেশি এমন আসনেও জোট শরিকদের ছাড় দিতে উদারতা দেখাছে আওয়ামী লীগ। আসন চুড়ান্ত অনুযায়ী তালিকায় থাকা জাপা প্রার্থীরা হলেন:। ঢাকা-১ অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ মীর আবদুস সবুর আসুদ, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-১৩ সফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং ঢাকা-১৭ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ময়মনসিংহ-৪ রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৫ সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক চুন্নু, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ- সেলিম ওসমান, টাঙ্গাইল-৫ পীরজাদা মনির হোসেন, জামালপুর-২ মোস্তফা আল মাহমুদ, জামালপুর-৩ এমএ সাত্তার, জামালপুর-৪, (২০১৪ সালে এই আসনটি জাপাকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ওই আসনের এমপির বিষয় বিশেষ আপত্তি থাকায়, আসনটি বন্টন হলেও প্রার্থীর নাম চুড়ান্ত করেনি জাপা) এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগে জাপা জোটকেও বেশ কয়েকটি আসনে ছাড় দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম-৫ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম- ৯ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, চট্টগ্রাম-১২ এমএ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট), কক্সবাজার- ৩ সন্তোস শর্মা, নোয়াখালী-১ আলহাজ্ব আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক (ইসলামী মহাজোট), ফেনী-৩ লে. জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লা-২ আমির হোসেন ভূইয়া, কুমিল্লা-৮ নরুল ইসলাম মিলন, চাঁদপুর-৫ মাওলানা মো.আবু সুফিয়ান আল কাদেরী (ইসলামী মহাজোট), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। রংপুর-১ মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-২ অধ্যাপক আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু, রংপুর-৩ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, রংপুর-৫ ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কুড়িগ্রাম-১ মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ পনিরউদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৩ ডা. আক্কাস আলী, লালমনিরহাট-১ মেজর অবসরপ্রাপ্ত খালেদ আখতার, লালমনিরহাট-২ রোকন উদ্দিন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, নীলফামারী-১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নীলফামারী-৪ মো. শওকত চৌধুরী, গাইবান্ধা-১ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, গাইবান্ধা-৩ ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার। রাজশাহী-৩ শাহবুদ্দিন বাচ্চু, নাটোর-২ মজিবুর রহমান সেন্টু, নাটোর- ৪ সালাউদ্দিন মৃধা, বগুড়া-২ শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর, জয়পুরহাট-২ কাজী আবুল কাশেম রিপন, ঠাকুরগাঁও-৩ মো.হাফিজউদ্দিন, দিনাজপুর-৬ মো.দেলোয়ার হোসেন। সিলেট-২ ইয়াহহিয়া চৌধুরী, সিলেট-৫ মো.সেলিম উদ্দিন। সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ, হবিগঞ্জ-১ আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ-৩ আতিকুর রহমান আতিক। বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না, পটুয়াখালী-১ এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, পিরোজপুর-৩ ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী। বরগুনা-২ আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা-১ সৈয়দ দিদার বখত, বাগেরহাট-৪ সোমনাথ দে। তালিকা অনুযায়ী বাদও পড়েছেন গেলবারের বেশ কয়েকজন এমপি। তার অন্যতম কক্সবাজারের হাজি ইলিয়াস। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে বসে দলের পক্ষে প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত করেন পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য। পরে শুক্রবার রাত ১০টায় চুড়ান্ত ৬০ জনের তালিকা সরকার দলের সংশ্লিষ্টদের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়। এরআগে দু’দফায় সরকার দলের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে নিজেদের দাবিকৃত প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত করেন পার্টির এক কো চেয়ারম্যান, এরশাদের ঘনিষ্ট এক প্রেসিডিয়াম সদস্য, মহাসচিব এবং চেয়ারম্যান ও মহাসচিব অফিসের দুই কর্মচারি।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৫:১৩পিএম/২৪/১১/২০১৮ইং)