• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

যুবলীগের ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবসে’র প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য


প্রকাশের সময় : মে ২১, ২০১৮, ২:০৪ AM / ৭৫
যুবলীগের ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবসে’র প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ পালনের জন্য যুবলীগের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার(২০ মে) শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুবলীগ আমার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কাছে ১৭ মে নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ‘জনগণের ক্ষমতায়নের দিবস’ পালনের প্রস্তাব করেছে। আমি নেত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। দলের পরবর্তী সভায় এটি উপস্থাপন করা হবে। আমি মনে করি, এটি গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব।’

এসময় যুবলীগের নানা কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মূল কাজ হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা। আওয়ামী লীগের চেয়েও যুবলীগ প্রচার-প্রচারণা অনেক এগিয়ে। নির্বাচন কেন্দ্রিক যে প্রচারণা যুবলীগের চেয়ারম্যান শুরু করেছেন, নির্বাচন পর্যন্ত এই প্রচার প্রচারণা অব্যাহত থাকবে।’

যুবলীগ বিভিন্ন ইস্যুতে পুস্তক, লিফলেট, হ্যান্ডবুকসহ নানা প্রকাশনী বের করে থাকে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার জীবন দর্শনের উপর নানা সময়ে আলোচনা সভা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম করে। প্রতিবছর মাসব্যাপী শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শনী করে। শেখ হাসিনার জনগণের ক্ষমতায়নসহ নানা ইস্যুতে গবেষণা করে যুবলীগ। ‘যুব গবেষণা কেন্দ্র’ নামে যুবলীগের একটি স্বতন্ত্র গবেষণা সেল আছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুবক বা যুবলীগ বলতে মানুষের মাঝে যে স্বাভাবিক ধারণা, সেটি পাল্টে দিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রকাশনা বের করা, গবেষণা করা, পাঠাগার স্থাপনের মত সৃজনশীল কাজ করছে যুবলীগ। এজন্য মানুষের মনে এখন যুবলীগ ইতিচাবক অবস্থান করে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ২১ বই মেলাসহ সারাদেশ বিভিন্ন মেলায় বুক স্টল, সংবাদচিত্র প্রদর্শনী, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, সাপ্লিমেন্ট, সকলকে বক্তৃতা দেওয়া, মঞ্চে সকলকে বসতে দেওয়া, বিভিন্ন জেলা সম্মেলন ও সমাবেশে সকল নেতার অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেওয়া এসব কাজ প্রশংসনীয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ১৭ মে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। বাঙালীর অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের নব জাগরণের দিন। যুবলীগ মনে করে এই দিনটি জনগণের ক্ষমতায়নের দিন। কারণ, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাই বিশ্বের একমাত্র নেতা যার একটি রাজনৈতিক দর্শন রয়েছে। ২০১২ সালে তার বিশ্বশান্তির দর্শন জনগণের ক্ষমতায়ন জাতিসংঘে সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়। এটাই আজ বিশ্বশান্তির একমাত্র দলিল, একমাত্র পথনির্দেশিকা।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয় জনগণের ক্ষমতায়ন দর্শনের আলোকেই। ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি যখন মাতৃভূমির পবিত্র মাটি স্পর্শ করেন তখন এই দেশ ছিলো গণতন্ত্রহীন। জিয়াউর রহমানের স্বৈরশাসনে এদেশের মানুষ ছিলো অবরুদ্ধ, সংবিধান ছিলো বন্দী, মানুষের অধিকার ছিলো বুটের তলায় পিষ্ট। ৮১’র এই দিন থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা একটি লক্ষ্য নিয়েই কাজ করেছেন তা হলো জনগণের ক্ষমতায়ন, জনগণের অধিকার। তিনি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে এনেছেন। অর্থনৈতিক শৃঙ্খল থেকে জাতির পিতার বাংলাদেশকে মুক্তি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সাগর জয় করেছেন। মহাকাশে উড়িয়েছেন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা, বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলাদেশকে অনন্য মর্যাদায়। শুধু বাংলাদেশের মানুষের নেতা নন তিনি। তিনি আজ বিশ্বমানবতার কণ্ঠস্বর।

যুবলীগ চেয়ারম্যন আরো বলেন, শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে জনগণের ক্ষমতায়নের দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান। তিনি বলেন,“এই দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে না ফিরলে এ দেশের জনগণের ক্ষমতায়ন হতো না। তাই এই দিবসকে জনগণের ক্ষমতায়ন দিবসে হিসেবে ঘোষণা চাই।”

এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রকাশিত ও যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন করেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো.আতাউর রহমান, অধ্যাপক এবিএম আজমাদ হোসেন, শাহজাহান ভূইয়া মাখন, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা: বদিউল আলম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, আনোয়ার হোসেন, রওশন জামির রানা, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমূখ।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১:৫০এএম/২১/৫/২০১৮ইং)