• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের দাবি


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮, ৫:২৮ PM / ৩৯
মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের দাবি

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত জেলার পোরশা উপজেলা। সমাজের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অসহায় ও অবহেলিত এবং চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হত দরিদ্র প্রতিব্ন্ধীদের নিয়ে ছয় বছর জীবন সংগ্রাম করে চলেছেন- সেচ্ছাসেবক হিসেবেই এখনো পাঠদান তথা জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন বেশ কিছু সংখ্যাক শিক্ষক-শিক্ষিকা গণ।

বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি ও দাতা পারিবারেরর সহযোগিতায় কোন রকমে হাটি হাটি পা পা… করে এগিয়ে যাচ্ছে- “মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়”।

নওগাঁর পোরশা উপজেলা সদরে নিতপুর কপালির মোড়ে আরো অনন্য বিদ্যালয়ের মতই তিলে তিলে গড়ে ওঠেছে ব্যাতিক্রম ধর্মী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের ২০০৯ সালের নীতিমালার সকল সর্ত সমূহকে অনুরণ করে ২০১৩ সালে শুরু করা হয় বিদ্যালয়টির সকল কার্যক্রম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছে প্রতিব্ন্ধী শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়াদি। যা আজ সংখ্যা দাঁড়িছে ২৫৪ জনে।

স্থানীয় পর্যায়ের জেলাসহ গণমাধ্যম, সোস্যাল মিডিযায় (ফেসবুক) ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
এর মধ্যেই আগমন ঘঠেছে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশার, জেলা প্রসাশক, জেলা ডিডি, সংসদ  সদস্য, জেলা পিটি আই, জেলা শিক্ষা অফিস, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি, এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গন্য মান্য ব্যক্তি বর্গ সকলের মনকে হতবাক করে তুলেছে এমন মানব সেবার কাজ দেখে। এলাকাবাসি এবং অভিভাকেরা সকলে সাধুবাদ জানিয়েছেন এমন মানবপ্রেমি তরুণ -তরুনীদের।

বিদ্যালয়টি  সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের আদেশে জেলা প্রসাশকের মাধ্যমে অডিট করা হয়েছে একাধিক বার তবুও আজো জাতীয়করণ করা হয়নি বিদ্যালয়টি।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শাজাহান আলী জানান, বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বাবার নিজ পৈত্তিক সম্পত্তিতে বিদ্যালয়টি স্থাপন করি আমার পরিবারের সকল সদস্য মিলে যে ভাবে পারি সকলে সহযোগিতা করে চলেছি।  বাবা একজন শিক্ষা অনুরাগী মানু্ষ ছিলেন। শিক্ষা এবং শিক্ষিত মানুষকে তিনি খুব শ্রদ্ধা করতেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে থাকতেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (দাতার পুত্র) মোঃ মওদুদ আহম্মেদ (২৯) জানান, অনেক কষ্ট করে আমরা প্রতিব্ন্ধী শিশুদের এক সাথে করে তাদের শিক্ষা সেবা দিতে পেরে আমরা ধন্য! বর্তমানে ১৭ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
তিনি আরো জানান, শিক্ষক ও কর্মচারীরা বিনা বেতনে সকাল-বিকাল নিরলস ভাবে কায়িক ও মানসিক এবং বিভিন্ন ভাবে শ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করে আসছেন প্রতিষ্ঠাকাল হতেই।

মরহুম মোবারক হোসেনের আরেক ছেলে মোঃ মাহাবুর রহমান (আনন্দ) পুলিশে চাকুরিরত তিনি, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিফিনসহ যাবতীয় খরচ গুলো বহন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন কল্যাণ ও ফোর্স বিভাগ রাজার বাগে কর্মরত আছেন।

বিভাগীয় কমিশার, জেলা প্রসাশক এবং উপজেলা প্রসাশনের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের কিছু অবকাঠামো ঠিক করা হয়েছে। তবে আরো বাঁকি রয়েছে অবকাঠামোগত কার্যক্রমের তালিকা। এলাকার সকলের প্রত্যাশা বর্তমান সরকার প্রতিব্ন্ধী বান্ধব সরকার তাই এই বিদ্যালয়টি একদিন সরকারের আওতায় আসবে এবং সকল সরকারি সুবিধা পাবে। এই আশায় বুক বেঁধে স্বপ্ন নিয়ে মানবপ্রেমি শিক্ষক শিক্ষিকা এবং কর্মচারীরা দিন গুনছেন! তাই বিদ্যালয়টির সরকারি স্বীকৃতি পাবে এমনটাই দাবি এখন সবার। স্থানীয়দের প্রাণের দাবি এখন সময়ের দাবিতে যেন পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি সরকারি করার ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪৬-নওগাঁ -১ এর মাননীয় সংসদ সদস্য বাবু সাধন চন্দ্র মুজুমদার জানান, বিদ্যালয়টি একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। কিছু অনুদান দিয়েছি। বিদ্যালয়টি আরো উন্নয়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যাতে করে গরিব প্রতিব্ন্ধী শিশুরা যেন সকল সেবা ভোগ করেন।

তিনি আরো জানান, মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে। আমাদের সরকার তথা শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। আগামীতে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হবেই বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন। সেই লক্ষ্যে বর্তমান আ’লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছেন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৫:২৭পিএম/৫/৯/২০১৮ইং)