• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

মুন্সিগঞ্জে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৭, ২০২০, ১২:১৭ AM / ৫২
মুন্সিগঞ্জে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

মহসিন রেজা, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জ জেলা জুড়ে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা শীতের শুরুতেই অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা খেজুর গাছের কদর বেড়ে উঠেছে।

গাছিরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য প্রথমিক প্রস্ততি শুরু করেছেন। শুরু করেছেন প্রাথমিক পরির্চযাও। যাকে এক কথাই বলা হয় গাছ তোলা।

এক সপ্তাহ পরই আবার গাছে চাছ দিয়ে নলি ও গুছা লাগানো হবে খেজুর গাছ থেকে রস বের করতে তিনটি স্তর পেরিয়ে ১৫-২০ দিন পরেই রস আহরণ শুরু করা হবে।

মুন্সিগঞ্জ বিভিন্ন গ্রামে গুড়ে দেখা যায় রাস্তার পাশে থাকা খেজুর গাছ চাছার দৃশ্য গাছিরা গাছ চাছাড় ব্যস্ত সময় পাড় করছে। আর কিছু দিন পরই মধু বৃক্ষ থেকে সুমধুর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে গুড়, পাটালি, তৈরির উৎসব।
সুস্বাদু ও পিঠাপুরির জন্য অতি জুরুরি উপকরণ হওয়াই খেজুরের রসের চাহিদা বেড়ে যায়।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই খেজুর গাছ আজ অবহেলায় অজন্তে বিলপ্তির পথে। যে পরিমানে খেজুর গাছ নিধন হচ্ছে সে তুলনায় রোপন করা যাচ্ছে না অঞ্চলগুলো থেকে গাছ কমে গেছে। খেজুরের রস জ্বাল পিঠা,পায়েস, মুড়ির মোয়া ও নানা রকমের মুখরোচক খাবার তৈরির করার ধুম পড়বে কদিন পরেই ।
আর রসে ভেজা বিভিন্ন ধরনের পিঠার স্বাদই আলাদা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গাছিরা শীতের শুরুতেই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরেছে।

শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে খেজুর গাছ কাটার প্রতিযোগিতায় গাছিরা খেজুর গাছ পরিস্কার করার জন্য গাছি দা, পাটের দড়ি,মাটির কলস,বাঁশের চটি ব্যবহার করে থাকে।

জব্বার আলী এক গাছির সাথে কথা বলে যানাজায় প্রতি বছরের মতো এ বছরও তিনি খেজুর গাছের রস সংগ্রহে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন তিনি এক সপ্তাহে প্রায় ২০ টি খেজুর গাছ পরিস্কার করে ছিলে রেখেছেন রস সংগ্রহের জন্য গত বছরের তুলনায় এ বছর খেজুর গাছ অনেক কমে গেছে প্রতি বছর শীত এলেই তিনি খেজুরের রস সংগ্রহ করে তা বাজারে বিঞ্য় করে থাকেন। রস বেঁচে সংসার চালান তিনি আরো বলেন প্রতিদিন দুই থেকে তিন ভার খেজুরের রস তিনি সংগ্রহ করেন রস প্রতি গ্রাস ২০ টাকা ও ৮০ টাকা সের ধরে বিক্রয় করে থাকেন এতে করে শীত মৈাসুমে রোজগার মোটামোটি ভালো হয় বলে জানান।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১২:১৪এএম/১৭/১/২০২০ইং)