• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ন

‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে’


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৯, ২০১৮, ৪:২৫ PM / ৪০
‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে’

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’র আহ্বায়ক লেখক গবেষক আবীর আহাদ সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কারের বাহানা তুলে ঢাকা সাধারণ ছাত্রদের লেবাসে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সম্মানিত উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসবের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

আজ ঢাকারনিউজ২৪.কম এ পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।

আবীর আহাদ বলেন, স্বাধীনতার বিজয়ী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও জীবন উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রচলন করে গেলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে জড়িত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, সুবিধাবাদী ও অপদার্থ রাজনৈতিক চক্রের কারণে অতীতে যেমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তেমন চাকরি হয়নি——তারই ধারাবাহিকতায় অত্যন্ত কুকৌশলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বিভিন্ন পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখিয়ে, তাদেরকে মেধাহীনতার অপবাদ দিয়ে সরকারি চাকরিতে নেয়া হচ্ছে না ! তাদের শূন্যপদের কথা বলে সব দোষ দেয়া হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ওপর ।

আবীর আহাদ বলেন, সম্প্রতি সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটার শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে সাধারণ ‘মেধা’ কোটা থেকে নিয়োগ দেয়ার যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে সেটা কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না । মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের কায়দাকৌশলে অকৃতকার্য করে, কোটার পদ শূন্য করে অন্য প্রার্থী—–অর্থাত্ লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্বাধীনতাবিরোধী শিবির ও ছাত্রদলের পোলাপানদের সরকারি চাকরিতে ঢুকিয়ে দেশের প্রশাসনকে তাদের হাতে তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে শেষ করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে বর্তমান সরকার পা দিচ্ছে বলে মনে হয় । এটা দেশের মুক্তিযোদ্ধাসহ সচেতন দেশবাসী মেনে নিতে পারেন না ।

আবীর আহাদ দু:খ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার সাতচল্লিশ বছরে এ- পর্যন্ত কতো লক্ষ লোক সরকারি পদে চাকরি করে আসছে অথবা বর্তমান প্রশাসনে প্রায় পনেরো লক্ষজন চাকরি করছেন, তার মধ্যে শতকরা 30% হার অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় থাকার কথা প্রায় পাঁচ লক্ষ । এখন হিশেব করে দেখুন তো প্রশাসনে এ-কোটার কতোজন চাকরি করছেন ? এসবের হিশেব করলেই মূল গোমর ফাঁক হয়ে যায় যে, এ-কোটার প্রতি কতো অবহেলা ও চক্রান্ত করা হয়েছে ।

আবীর আহাদ জোর দিয়ে বলেন, প্রজাতন্ত্রের শূন্যপদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটার অংশের পদ পৃথক করে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সেসব পদে পরীক্ষা নেয়া উচিত যাতে এ-কোটার একটি যথাযথ প্রয়োগ হয় । তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে খোঁটাসহ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে ।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৪:২০পিএম/৯/৪/২০১৮ইং)