• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

মিশরের রাস্তায় ফুটবলার সালাহ’র মতো কে?


প্রকাশের সময় : মে ৫, ২০১৮, ১১:৪৯ AM / ৪৮
মিশরের রাস্তায় ফুটবলার সালাহ’র মতো কে?

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : মোহাম্মদ সালাহ। তার পায়ের জাদুতেই ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের টিকেট কেটেছে মিশর। লিভারপুলের জার্সিতে তো আরও আলোকিত এই মিশরীয় ফরোয়ার্ড। একের পর এক গোল করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকদের মুখ হাঁ করিয়ে দেওয়া সেই সালাহ অবশ্য এবার নিজেই চমকে গেলেন। আর চমকাবেনই বা না কেন?

নিজের মতোই হুবহু আরেকজনকে দেখলে যে কারোরই চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে। দেশে ফিরে অবিকল তারই মতো একজনকে দেখে রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ  মিশরীয় এই ফুটবলারের। সালাহর মতোই অবিকল দেখতে সেই ব্যক্তির নাম আহমেদ বাহা। সালাহরই গ্রাম নাগরাইগেতেই তার বসবাস। বাহার  দৈহিক গঠন, দাড়ি, চুল বা চেহারা সবকিছুই যেন হুবুহু সালাহর মতো। খুব ভালো করে খুটিয়ে না দেখলে যে কেউই ভেবে বসতে পারেন, ইনিই সালাহ।

বাহাকে দেখে চলতি মৌসুমে ৪৩ গোল করা সালাহও অবাক। তার মতে, যেন কোনো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন সালাহ। ২০১৬ সালে এই দুজনের সাক্ষাৎও হয়েছিল। তখন রোমার হয়ে খেলতেন সালাহ। সেই সাক্ষাৎ নিয়ে বাহার ভাষ্য, ‘আমাকে দেখেই চমকে গিয়েছিল। তাঁর কাছে মনে হয়েছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু আমি নই, সে আমার মতো দেখতে। কারণ আমি তার চেয়ে বয়সে বড়।’

এর আগে লিওনেল মেসির মতো দেখতে একজনকে আবিষ্কার করা গিয়েছিল ইরানে। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ ও জেমি ভার্ডিরাও পেয়েছিলেন তাদের মতোই দেখতে আরেকজনকে। এবার সেই তালিকায় যোগ হলেন সালাহ। যা লুফে নিয়েছে মিশরের গণমাধ্যমও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ মিশরের টিভি চ্যানেল কিংবা পত্রিকার পাতাতেও এখন পরিচিত মুখ বাহা। জাতীয় দল ও লিভারপুলের জার্সিতে প্রায় সময়ই আলোচনায় থাকেন বাহা। কায়রোর রাস্তায় নামলে মানুষ তাকে সালাহ মনে করে আগ্রহ দেখায়। অটোগ্রাফ চায়।

চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে লিভারপুল-রোমা ম্যাচ দেখতে এক রেস্টুরেন্টে ঢুঁ মেরেছিলেন বাহা। ওই রেস্টুরেন্টে উপস্থিত সকলে তো অবাক। যাকে টিভি পর্দায় মাঠে দেখছে সেই সালাহ কীভাবে এখানে এলো? পরবর্তী সময়ে বাহাকে সব বুঝিয়ে বলতে হয়। মাঝে মধ্য বিড়ম্বনার শিকার হলেও ব্যাপারটা উপভোগই করেন বাহা।

সালাহর সঙ্গে সঙ্গে বাহার জনপ্রিয়তাও দিনকে দিন বেড়েই চলছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১:৪৮এএম/৫/৫/২০১৮ইং)