• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন

মানুষের মস্তিষ্ক চাইছেন গবেষকরা


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০১৭, ১০:৫৩ AM / ৬৪
মানুষের মস্তিষ্ক চাইছেন গবেষকরা

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : গবেষণার জন্য বেশি বেশি করে মস্তিষ্ক দান করার অনুরোধ জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা জানান, হতাশা ও বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যান সে ধরনের মস্তিষ্কের সংকটের মধ্যে রয়েছেন তারা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকলিন হাসপাতালের হাভার্ড ব্রেন টিস্যু রিচার্স সেন্টারের গবেষকরা এ অনুরোধ জানান।

মানসিক ও স্নায়ুবিক রোগের চিকিৎসাকে আরো উন্নত মানে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন গবেষকরা। এরই অংশ হিসেবে এ ধরনের অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। মানুষের সচেতনতার অভাবে মস্তিষ্কের এই সংকটে ভুগছেন বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

গবেষকদের মতে, মানুষের মস্তিষ্ক দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি জটিল। মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কোষগুলো প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হয়। শারীরিক আচরণের প্রতিমূর্তি হচ্ছে ব্রেনের ওই অঙ্গগুলো। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মানুষের মস্তিষ্কের আকারের সঙ্গে বিভিন্ন মানসিক ও স্নায়ুবিক রোগের সম্পর্ক নির্ধারণ করেছেন।

বোস্টনের মেকলিন হাসপাতালের হাভার্ড ব্রেন টিস্যু রিচার্স সেন্টারে প্রায় ৩ হাজার মানুষের মস্তিষ্ক সংরক্ষণ করা আছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মস্তিষ্ক সংরক্ষণাগার এটি। অধিকাংশ মানুষ যারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও স্নায়ুবিক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মস্তিষ্কগুলো তাদেরই।

পার্কিনসন (পেশীসমূহে কাঠিন্য দৈহিক কম্পন প্রভৃতি লক্ষণযুক্ত নার্ভতন্ত্রের ক্রমবর্ধমান ব্যাধিবিশেষ) ও আলঝেইমার্স বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগের চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারে মস্তিষ্কের এই স্যাম্পলগুলো ব্যবহার করা হয়। তবে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মেকলিন হাসপাতাল ও পৃথিবীর বিভিন্ন মস্তিষ্ক সংরক্ষণাগারে পর্যাপ্ত মস্তিষ্ক নেই বলে জানান গবেষকরা।

ম্যাকলিন হাসপাতালের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কেরি রেসলার জানান, মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যা ও স্নায়ুবিক রোগের সমস্যা সমাধানে গবেষকরা খুব কাছে রয়েছেন। কিন্তু গবেষণার জন্য মস্তিষ্কের ঘাটতি তাদের অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে।

ক্যারোলিন নামে একজন ভাবী মস্তিষ্ক দানকারী ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘আমি গবেষণার জন্য আমার মস্তিষ্ক দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমার বোন সিজ্রোফোনিয়ায় আক্রান্ত। আমি মনে করি আমার মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা-মা সুস্থ কিন্তু কোথা থেকে আমার বোন সিজ্রোফোনিয়া পেল? যদি এটা নিয়ে গবেষণা না করা হয় তবে এর প্রতিষেধক কিভাবে আবিষ্কার করা সম্ভব হবে?’

হাভার্ড ব্রেন টিস্যু রিসোর্স সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর সাবিনা বেরেট্টা বলেন, ‘মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যদি দেখেন বিভিন্ন চিকিৎসা করিয়েও তার এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না তবে তিনি চাইলে তার মস্তিষ্ক গবেষণার জন্য দান করতে পারেন।’

তবে জীব বিজ্ঞান সংক্রান্ত দৃষ্টিকোণ থেকে এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৫০এএম/২০/২/২০১৭ইং)