• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন

বড় কোম্পানি কিনতে জুকারবার্গের ৪টি কৌশল


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৯, ২০১৭, ৫:৫৪ PM / ৩৯
বড় কোম্পানি কিনতে জুকারবার্গের ৪টি কৌশল

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : দুই বিলিয়ন ডলার দিয়ে অকিউলাস তখন কিনতে যাচ্ছিলেন মার্ক জুকারবার্গ। সে সময় অকিউলাসের প্রধান নির্বাহী ব্রেন্ডন ইরাইব-এর কাছ থেকে একটি জরুরি বার্তা পান তিনি। ইরাইব জানান গুগলও সেটা কিনতে আগ্রহী। জুকারবার্গ যখন ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে কিনে নিচ্ছিলেন হোয়াটসঅ্যাপ তখন এ রকমটাই ঘটেছিল। দুই সপ্তাহব্যাপী চলা সেই দরকষাকষি চলার সময়টাতে গুগল নাকি ফেসবুকের চেয়ে বেশি অর্থ দিতে চাইছিল। কিন্তু এরকম বড় বড় চুক্তির সময় শেষ হাসি হাসেন মার্ক জুকারবার্গই! তার এই সাফল্যের রহস্য কি? বিজনেস ইনসাইডার এরকম চারটি কৌশলের কথা জানিয়েছে।

কিভাবে মার্ক জুকারবার্গ কোন প্রতিষ্ঠান খরিদ করে নেন সে চারটি কৌশলের কথা জেনে নিন :

১. আগে সম্পর্ক তৈরি করা

যেসব প্রতিষ্ঠানের দিকে জুকারবার্গ নজর দেবেন তার প্রধানদের সাথে প্রথমে সম্পর্ক স্থাপন করেন। যেমন ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটস্ অ্যাপ কেনার চেষ্টা চালানোর আগে সেখানকার কর্তাব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তাব্যক্তি ও কর্মীদের সাথে বছরব্যপী খাতির করতে থাকেন। যখন উপযুক্ত সময় এসেছে মনে করেন তখন কিনে নেওয়ার পদক্ষেপ নেন। জুকারবার্গের সফলতার পেছনে কারণ হচ্ছে এই আগাম সম্পর্ক তৈরি। মার্ক জুকারবার্গ যখন কোন বেচাকেনায় সফলতার পরিচয় দেন তখন প্রতিদ্বন্ধীরা আফসোস করেন তারা কেন পারলো না।

২. একই ভিশন ধারণ করা

অকিউলাসকে অল্প মূল্যে কিনে ফেলতে সক্ষম হওয়ার পেছনে যে কারণটি কাজ করেছে বলে মনে করেন সেটা হলো প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মীদের স্বপ্ন, আকাঙ্খা ও ভিশনকে ধারণ করতে পারার সক্ষমতা।

৩. মাঝে মাঝে ভয় লাগিয়ে দেওয়া

ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিনে ফেলার সময় মার্ক জুকারবার্গ মাঝে মাঝে এই ভয় দেখান ছোট প্রতিষ্ঠানকে বাজারে টিকে থাকা কত কষ্টকর হতে পারে। তার চেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করলে বাজারে টিকে থাকা সম্ভব হওয়া সহ ব্যবসার বিকাশ হতেও সহায়তা করতে পারে বলে আশা দেখান।

৪. খুব দ্রুত কিনে ফেলা

প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যখন কোন একটা প্রতিষ্ঠান কিনে ফেলতে আগান তখন কিন্তু প্রতিপক্ষ অনেক প্রতিষ্ঠানও উৎ পেতে থাকতে পারে। এজন্য মার্ক জুকারবার্গের কৌশল হলো খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা এবং অল্প সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করে ফেলা। যদিও একটা প্রতিষ্ঠান ক্রয়-বিক্রয়ের অনেক আইনী ও দাপ্তরিক ঝামেলা আছে কিন্তু ফেসবুক খুব দ্রুত সে চুক্তিগুলো করে ফেলতে পারে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৫:৫২পিএম/১৯/১/২০১৭ইং)