• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

বিয়েতে জাপায় বাড়ছে জিয়াউদ্দিন বাবলুর প্রভাব!


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০১৭, ৫:৩০ PM / ৫১
বিয়েতে জাপায় বাড়ছে জিয়াউদ্দিন বাবলুর প্রভাব!

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

অনেকদিন ধরেই দুইটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব ও কোন্দলে চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টির অবস্থা বিপর্যস্ত। এ কোন্দল দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ ও নগর সভাপতি মাহজাবীন এমপিকে ঘিরে দুই ধারায় বিভক্ত নেতাকর্মীরা। দুটি গ্রুপের পৃথক কার্যালয় থেকে আলাদাভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে জিয়াউদ্দিন বাবলুর সমর্থনপুষ্ট মাহজাবীন। এরশাদের ভাগ্নি মেহেজেবুন্নেছা রহমান টুম্পার সঙ্গে আগামী ২১ এপ্রিল বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন বাবলু। আর এ কারণে বাবলুর কর্তত্ব আবারো প্রতিষ্ঠা হবে বলে মনে করছেন দলের অনেকেই।

দলের চেয়ারম্যান এরশাদের সঙ্গে জিয়াউদ্দিন বাবলুর তিক্ততা শুরু হয় রংপুরে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নিজের ছোট ভাই জিএম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান এবং উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা দেয়ার কারণে। জাতীয় পার্টিতে সরকার বিরোধী বলে পরিচিত জিএম কাদেরকে হঠাৎ করে এরশাদের উত্তরসূরি ঘোষণা করায় দলের সরকার সমর্থক অংশের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। এরশাদের এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করা হয় বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের বাসভবনে সরকারপন্থিদের এক বৈঠকের মাধ্যমে। বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, রওশনকে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

এই সিদ্ধান্তের কথা জেনে এরশাদ ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকা ফেরেন এবং দ্রুত এক সংবাদ সম্মেলন করে জিয়াউদ্দিন বাবলুকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন রহুল আমিন হাওলাদারকে।

এরশাদের এই সব সিদ্ধান্ত দলের মধ্যে এক ধরনের ঝড় তোলে। দলের নেতা-কর্মীরা বিদ্রোহের আগুনে পুড়তে থাকেন। আর সেই আগুনে জল ঢালতেই জিয়াউদ্দিন বাবলু নতুন এক সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মামা-শ্বশুর হতে যাচ্ছেন দলটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ। এরশাদের ভাগ্নি মেহেজেবুননেছা রহমান টুম্পার সঙ্গে আগামী ২১ এপ্রিল বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন বাবলু। আর জিয়াউদ্দিন বাবলুর এ বিয়েতে সদয় সম্মতি রয়েছে।

দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এরশাদের উদ্যোগেই জিয়াউদ্দিন বাবলু আবার বিয়ে করছেন। ঘরোয়াভাবে এ বিয়ে অনুষ্ঠান হবে। ২১ এপ্রিল সকালে বারিধারায় এরশাদের প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় আক্দ এবং সন্ধ্যায় গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

জিয়াউদ্দিন বাবলু দশম জাতীয় সংসদে জাপার দলীয় সাংসদ। তার হবু শাশুড়ি মেরিনা রহমান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। মামা শ্বশুর এরশাদও এ সংসদের সাংসদ। আর মামি শাশুড়ি রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।

জিয়াউদ্দিন বাবলুর স্ত্রী ফরিদা সরকার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। ফরিদা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। বাবলুর হবু স্ত্রী মেহেজেবুননেছা রহমানও অধ্যাপক। তিনি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ`র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর। প্রথম সংসারে তার এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে।

এদিকে স্ত্রী ফরিদা সরকারের মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে আশিক আহমেদকে নিয়ে আছেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। ছেলে এমবিএ শেষ করে ব্যবসা করছেন, বিয়েও করেছেন।

এ বিয়ের মাধ্যমে এরশাদেও সাথে জিয়াউদ্দিন বাবলুর দলে আবার নতুন করে কর্তত্ব ফিরবে বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। মাহজাবীন মোর্শেদ জানান, জিয়াউদ্দিন বাবলু সাহেবের সাথে এরশাদ স্যারের নতুন এ সম্পূর্ক দুজনের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে দলে বাবলুর কর্তত্ব প্রতিষ্ঠা হবে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০৫.৩০ পিএম/১৩//২০১৭ইং)