• ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ Jun ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন

বিনিয়োগ প্রস্তাব ৪৬ শতাংশ কমেছে


প্রকাশের সময় : মে ৩, ২০১৭, ১১:৪২ AM / ৩৪
বিনিয়োগ প্রস্তাব ৪৬ শতাংশ কমেছে

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে এর আগের তিন মাসের তুলনায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নিবন্ধন প্রায় ৪৬ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে দেশি বিনিয়োগ নিবন্ধন বেশ বাড়লেও বিদেশি বিনিয়োগ নিবন্ধন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ফলে সার্বিকভাবে বিনিয়োগ নিবন্ধন কমেছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মোট ৫১০টি প্রতিষ্ঠান ৩৭ হাজার ২১৭ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন করিয়েছে, যা এর আগের তিন মাস অর্থাৎ গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ের চেয়ে ৩১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা কম। ওই সময় দেশে ৪৮৭টি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ নিবন্ধনের পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা।
আলোচ্য সময়ে যেসব বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে তা থেকে প্রায় ৭৪ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
বিডা গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আলোচ্য তিন মাসে স্থানীয় বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৬৯টি। এসব প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৬৮০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। বিগত অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ের চেয়ে যা ২৯ শতাংশ বেশি। ওই সময়ে ৪৪৪টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২৩ হাজার ৪৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছিল।
জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশে ২০টি শতভাগ বিদেশি ও ২১টি যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন নিয়েছে। এরা ৭ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, যা আগের তিন মাসের তুলনায় প্রায় ৫০৬ শতাংশ কম। অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে মোট ৪৩টি প্রতিষ্ঠান ৪৫ হাজার ৭২৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধন করেছিল। অবশ্য বিডা বলছে, আলোচ্য সময়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব ২০৫ শতাংশ বেড়েছে।
জানতে চাইলে বিডার পরিচালক মো. আরিফুল হক বলেন, এ তথ্যটি তিন মাসের। এর আগের তিন মাসে জ্বালানি খাতে বেশ কয়েকটি বড় বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল। ফলে ওই সময়ের হিসাবে বিদেশি বিনিয়োগের নিবন্ধন অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ফলে পরের তিন মাসে স্বাভাবিক হারে বিনিয়োগ এলেও তা কম দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ জানুয়ারি-মার্চ সময়ে যে বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে, তা-ই স্বাভাবিক বলে আমার মনে হয়।’
বিডা জানিয়েছে, আলোচ্য তিন মাসে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বেশি এসেছে সেবা খাতে, যা মোট বিনিয়োগের ৩১ শতাংশ। এ ছাড়া রাসায়নিক শিল্প খাতে সাড়ে ১৭ শতাংশ, বস্ত্রশিল্পে সাড়ে ১০ শতাংশ, খাদ্য ও সংশ্লিষ্ট খাতে সাড়ে ১২ শতাংশ, প্রকৌশল শিল্পে প্রায় ৫ শতাংশ ও অন্যান্য খাতে প্রায় ২৩ শতাংশ বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিডায় নিবন্ধন নিতে হয়। নিবন্ধন নেওয়ার পর বিনিয়োগের কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানগুলো। জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো যে বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে, তা বাস্তব বিনিয়োগে পরিণত হওয়া সময়সাপেক্ষ।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ১১.৪০এএম/০৩//২০১৭ইং)