• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

বাগেরহাটে এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের ছড়াছড়ি


প্রকাশের সময় : মে ২৪, ২০১৯, ১২:০২ AM / ৪৬
বাগেরহাটে এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের ছড়াছড়ি

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট : চলতি এইচএসসি ব্যবহারিকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের হিড়িক চলছে। ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা নম্বর কম পাওয়া অথবা ফেলের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে অনিচ্ছা সত্বেও শিক্ষকদের এরুপ বিধিবহির্ভুত ডাকে সাড়া দিচ্ছে।

চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা যায়, তাত্তিক পরীক্ষার শেষে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে বিষয় প্রতি ছাত্র-ছাত্রী থেকে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা হারে গ্রহণ করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা না থাকলেও ধারাবাহিক মূল্যায়ণের নামে অনুরুপ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজে এবছর এ বিষয়ে সাড়ে তিন শ’র ও বেশী পরীক্ষার্থী রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা হারে, কৃষি শিক্ষা বিষয়ে এ কেন্দ্রের ১১০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১শ’ টাকা হারে এমনিভাবে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, জীববিদ্যাসহ সকল ব্যবহারিক বিষয়ে অনুরুপ হারে টাকা গ্রহণ করা হয়। এসব টাকা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা এবং ক্ষেত্র বিশেষ প্রতিষ্ঠান প্রধানের যোগসাজসে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে উত্তোলন করা হয়ে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরীক্ষার্থী বলেন ৬ টি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় প্রায় ১ হাজার টাকা দিয়েছি। অথচ প্রত্যেক বিষয়ে বোর্ড নির্ধারিত টাকা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ১৩ টাকা হারে এবং কেন্দ্রে ৭ টাকা হারে পরীক্ষার ফি বাবদ গ্রহণ করা হয়। সরকারি সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ কেন্দ্র এবং রওশন আরা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্র দু’টি পাশাপাশি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ওই টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপরে সরকারি সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পাঠদানকারী শিক্ষক মোঃ সালাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কলেজের সকল শিক্ষকদের সিদ্ধানের ভিত্তিতে এই টাকা তোলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সরকারি সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এমাদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা উত্তলনের ব্যাপারে সত্ততা স্বীকার করেন।

অপরদিকে রওশনআরা মাহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আল আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা নিচ্ছে কিনা আমি জানিনা।

সরকারি সিরাজউদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান বলেন এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা তবে যদি নিয়ে থাকে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

এদিকে এ ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে জোড়ালো দাবী জানান। এত বিপুল অর্থ কি করা হয় এরুপ প্রশ্নে তারা সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১২:০৩এএম/২৪/৫/২০১৯ইং)