• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

বাগাতিপাড়ায় বিয়ের ১৪ বছর পর বৌভাত, বরযাত্রীদের একই রকমের পোষাক উপহার


প্রকাশের সময় : মে ১০, ২০১৮, ১০:২৬ PM / ৫৪
বাগাতিপাড়ায় বিয়ের ১৪ বছর পর বৌভাত, বরযাত্রীদের একই রকমের পোষাক উপহার

মোঃ ফজলে রাব্বি, বাগাতিপাড়া, নাটোর : বৌভাতের আয়োজন। অতিথিরা এলেন। ভুড়ি ভোজে অংশ নিলেন। আপ্যায়ন শেষে বিদায়ও নিলেন। কিন্তু যে বিয়ের বৌভাতে আমন্ত্রিত অতিথিদের আগমন সে বিয়ে সম্প্রতি কোন সময়ের নয়। বিয়ের চৌদ্দ বছর পর বৌভাত।

বৃহস্পতিবার এরকমই এক ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল নাটোরের বাগাতিপাড়ায়। বরের সঙ্গে চৌদ্দ বছর পূর্বে যারা বরযাত্রী ছিলেন তারাও এসেছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। তারা সকলেই উপহার পেলেন একই রকমের নতুন পোষাক।

আয়োজকরা জানালেন, ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর উপজেলার দয়ারামপুর কাজীপাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে কাজী আমানুর রহমানের সাথে একই উপজেলার চকতকিনগর গ্রামের জাহেদ আলীর কন্যা তাছলিমা খাতুনের বিয়ে হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিয়ের কারনে সেসময় বৌভাতের আয়োজন করা হয়নি। এ নিয়ে মনকষ্টে ছিলেন স্বামী আমানুর ও স্ত্রী তাছলিমা। তারা স্থির করেছিলেন বৌভাতের আয়োজন একদিন হবেই। কিন্তু তা হচ্ছিল না। একে একে তিনটি সন্তানের বাবা-মা হন সেই দম্পতি। বড় মেয়ে আমিনা (১০) পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী। ছোট দুই ছেলে আলিফ (৫) এবং বিশ দিনের নবজাতক আলভী। অবশেষে সেই ইচ্ছার বাস্তবায়ন হয় চৌদ্দ বছর পর। বর কাজী আমানুর পেশায় একটি মাদরাসার শিক্ষক। সে সময়ে তার সাথে বরযাত্রী হয়ে এসেছিলেন তার মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীসহ ২৪ জন। বৌভাত অনুষ্ঠানে তাদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আর তাদের উপহার দেওয়া হয় একই রঙের পাঞ্জাবী-পাজামা। সঙ্গে সাদা টুপি। এতে উচ্ছ্বসিত হয় বরযাত্রীরা। তারা বলেন, এমন ঘটনা এর আগে কখনও দেখেননি।

কাজী আমানুর রহমান বলেন, নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল অনেক বড় আশা। কিন্তু সে সময় অনুষ্ঠান করা যায়নি। তাই ভেতরে সাধ থেকেই যায়। অবশেষে সেই ইচ্ছা পুরণ করতে পেরে ভাল লাগছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১০:১৮পিএম/১০/৫/২০১৮ইং)