• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

বাউকুল চাষে স্বাবলম্বী টাঙ্গাইলের এনামুল


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০১৮, ১২:৫৭ PM / ৪৭
বাউকুল চাষে স্বাবলম্বী টাঙ্গাইলের এনামুল

ঢাকারনিউজ২৪.কম, টাঙ্গাইল : বড় ভাই রিপনের কাছ থেকে প্রথমে উৎসাহ পেয়ে ২০০৭ সালে দুই বিঘা জমির উপর ‘বাউকুল বরই’ বাগান শুরু করেন এনামুল হক। প্রথম বছরেই সফলতার সাথে লাভবান হন তিনি। ধারাবাহিকভাবে সফলতার কারণে বর্তমানে চার বিঘা জমিতে বাউকুল চাষ করছেন এ চাষী। বাউকুল আবাদ করে সবার সৃষ্টি কেড়েছেন তিনি। এনামুল এখন বেশ স্বাবলম্বী। অন্যদিকে নিজ এলাকায় তিনি একজন সফল চাষী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এবারও তার বাগানে ভালো ফলন হয়েছে। তিনি আশা করছেন এবার বাউকুল বরই চাষে বেশ লাভ হবে তার।

বাউকুল বরই চাষে স্বাবলম্বী এনামুল হকের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুরে। এনামুল হক পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মৃত ইসমাইল হোসেনে ছেলে।

জানা যায়, ২০০৭ সাল থেকে তিনি বরইয়ের চাষ করে আসছেন। শুরু অল্প পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে ৪ বিঘা জুড়ে রয়েছে তার বাগান। বাগানে রয়েছে ১ হাজারের মত বাউকুলের গাছ। এবার তার বাগানে বরই উৎপাদন হবে প্রায় ৩০০ মণ। যা থেকে তিনি আয় করবেন প্রায় ৬ লাখ টাকা।

বরই চাষ শুরু করার পর প্রতি বছর লাভ করলেও এবার মোটা অঙ্কের লাভ হবে বলে এনামুলের আশা।

এনামুল হক বলেন, আমার নিজস্ব জমি পতিত থাকতো, ভাইয়ের আগ্রহে এ চাষ শুরু করি। প্রথম বছরেই অনেক সফলতা পেয়ে সকল পতিত জমিতে চাষ করার উদ্যোগ নেই। বিগত বছরের চেয়ে এবার ভাল ফলন হয়েছে। পুরো জমির উপর নেট ব্যবহার করার কারণে বরই নষ্ট হয়েছে কম। আগাম ফল আসায় বাজারে দামও বেশি পাচ্ছি। আমাকে অনুসরণ করে এলাকায় অনেকই এ বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আগাম চাষ করায় বাজারে প্রতি কেজি ৮০- ৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাউকুল চাষে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবেন বলেও বলে তিনি জানান।

এনামুল হকের বড় ভাই রিপন মিয়া বলেন, এ বছর ভাল ফলন হওয়ায় আগামী বছরে আরো ৪ বিঘা জমিতে বাউকুল চাষে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। খুব সহজে ও অল্প পরিশ্রমে বাউকুল বরই চাষ করা যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বাউকুল সুস্বাদু, সুমিষ্ট, দৃষ্টিনন্দন। রং, রস, গুণ, সুগন্ধ সর্বদিকে এটি সমৃদ্ধ। বাউকুল দেশের অনেক অঞ্চলে আপেল কুল হিসেবেও পরিচিত। বাউকুল-১ প্রজাতির গাছ লাগানোর ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই একটি গাছ থেকে কমপক্ষে ১০ কেজি কুল পাওয়া যায়। এ অঞ্চলে বাউকুল চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে।

কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এনামুলকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে বলেও তিনি জানান।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১২:৫৫পিএম/৯/২/২০১৮ইং)