• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন

‘বাংলাদেশের স্টোকস’ সাকিব নাকি ‘ইংল্যান্ডের সাকিব’ স্টোকস?


প্রকাশের সময় : জুন ১, ২০১৭, ১১:৫৫ AM / ১১৪
‘বাংলাদেশের স্টোকস’ সাকিব নাকি ‘ইংল্যান্ডের সাকিব’ স্টোকস?

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : বিশ্বের ১ নম্বর অল-রাউন্ডার তিনি। ইংলিশ মিডিয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার আগে তাকে নাম দিয়েছে বাংলাদেশের ‘বেন স্টোকস’। তা স্টোকস গত কয়েক বছর ধরে সুপারস্টার হিসেবে গড়ে উঠেছেন। ওই অল-রাউন্ডারের আগে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান তার নামকে ক্রিকেট ইতিহাসে অমরত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের মিডিয়া তাই বেন স্টোকসকে উল্টো ইংল্যান্ডের ‘সাকিব আল হাসান’ বললেও ভুল হয় না মোটে!
তবে স্টোকস হালে যেমন আলো ছড়াচ্ছেন তেমনটা পারছেন না বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক সাকিব। বড় ম্যাচের এই খেলোয়াড়কে তবু ইংল্যান্ড বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে আলাদা করে হিসেবে রাখছে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, বাঁহাতি স্পিনার যে কোনো কন্ডিশনে জ্বলে উঠতে জানেন।
বাংলাদেশ এখন আর এক-দুজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল দল না। বিশ্ব ক্রিকেটে হঠাৎ অঘটন ঘটানো দলও তারা নয়। ধারাবাহিক। শেষ ৭ দেখায় চারবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এগিয়ে থাকা দল। বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়েও পার্থক্য এক ধাপে। তামিম ইকবাল যে দলের সবচেয়ে বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহরা ম্যাচ উইনার। বোলিংয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সাথে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। স্পিডস্টার রুবেল হোসেন সুযোগ পেয়ে জ্বলে উঠছেন। তাসকিন আহমেদ হালে কিছুটা বিবর্ণ হলেও আগুন জ্বালতে জানেন। আর স্পিনে সাকিব তো আছেনই। আরো আছেন মেহেদী হাসান মিরাজের মতো উদ্দাম তরুণ।
গ্রুপের আরেক দল নিউজিল্যান্ডকে মাত্রই ডাবলিনে হারিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। উঠে এসেছে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বরে। সেই দলের সেরা তারকা সাকিব এর আগে ১২ ম্যাচ খেলেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৪ উইকেট তার শিকার। একাধিক ২ উইকেট থাকলেও ম্যাচে ৩ উইকেট মাত্র একবার। সেটি ২০১০ সালে ঢাকায়। ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২টি ফিফটি সাকিবের। এই দলের সাথে নিজের প্রথম ম্যাচেই অপরাজিত ৫৯ ছিল তার। আর শেষ ফিফটিটা ২০১৬ তে, ঢাকায়। ৭৯ রানের ইনিংস খেলেও অবশ্য সাকিব জেতাতে পারেননি দলকে। ওটাই সর্বোচ্চ স্কোর। ১২ ম্যাচে ২৬৮ রান তার সামর্থ্যের কথা পুরোটা বলে না। তবে ব্যাটে-বলের যোগফল করলে সাকিবের পারফরম্যান্স ফেলে দেওয়ার মতোও নয় মোটে।
সবকিছুর পরও বিশ্ব আসরে সাকিব নিশ্চয়ই নিজেকে আরেকবার চেনাতে চাইবেন। মাশরাফির পর বাংলাদেশের নেতৃত্ব তারই হাতে আসার কথা। সামনে থেকে পারফরম্যান্স দিয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ কি আর সাকিব হারাতে চাইবেন! (পরিবর্তন)

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:৫৫এএম/১/৬/২০১৭ইং)