• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:৫৬ অপরাহ্ন

বশেমুরবিপ্রবি’র শিক্ষক সমিতি নির্বাচন : ভিসি পন্থিদের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : জুলাই ২২, ২০১৮, ৩:৩৬ PM / ৬২
বশেমুরবিপ্রবি’র শিক্ষক সমিতি নির্বাচন : ভিসি পন্থিদের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতি নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিসি পন্থী শিক্ষক জোটের সভাপতি প্রার্থী আশিকুজ্জামান ভ’ইয়া ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ঈশিতা রায়ের বিরুদ্ধে উস্কানি মূলক, বিভ্রান্তিকর ও অসত্য প্রচারনা চালানোর অভিযোগ করেছে প্রতিদ্বন্দ্বি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষক ঐক্য। রোববার শিক্ষক ঐক্যের সভাপতি প্রার্থী প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান এ অভিযোগ করেন। অভিযোগে ওই শিক্ষক নেতা বলেন, সরকারের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও একাডেমিক অর্জন সমূহকে প্রতিপক্ষ তাদের গোষ্ঠি স্বার্থে ব্যবহার করার হীন ইচ্ছা পোষনের মাধ্যমে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার নীল নকশা আঁকছেন। তারা সরকারের পক্ষ থেকে সংবিধানিক ভাবে বিশা¦বিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ি যে সকল কাজ করার কথা সেগুলোকেও তাদের গোষ্ঠীগত অর্জন বলে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ধারা-৩১ অনুযায়ি প্রতিষ্ঠানের সকল রকম উন্নায়ন কর্মকান্ড, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস কমিটি প্রনয়ন ও কর্মসূচী মূল্যায়ন করবেন। অথচ ভিসি পন্থী শিক্ষকগন জোটের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী তাদের প্রচারনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গত তিন বছরের সকল উন্নায়ন তাঁদেও নিজস্ব অর্জন বলে দাবী  করে গভীর মিথ্যাচার ও শঠতার আশ্রয় নিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষক ঐক্যের সভাপতি প্রার্থী প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান অভিযোগ করে অরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিভিন্ন অভ্যন্তরীন দায়িত্ব যে সকল কাজ বিশেষ করে পদোন্নতি নীতিমালা, ছুটি বিধিমালা, ইন্টারনেট সংযোগ, বৃক্ষ রোপন ও বিভাগ সমূহকে গড়ে তোলা ইত্যাদি সম্পন্ন করেছেন তা তাদের অর্জন বলে প্রচার করছেন। এমনকি তারা তাদের প্রচারপত্রে শিক্ষকদের ভালবাসার সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ইঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয় গুলোকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সম্মান হানি করেছেন।
অপরদিকে এসব অসত্য প্রচারনায় সাধারন শিক্ষকদের অনুমতি না নিয়েই তাদের পরিচয় সূত্র ব্যবহার করছেন। এছাড়া নির্বাচিত হওয়ার আগেই তারা নিজেদের নামের সাথে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ব্যবহার করে প্রচারনা চালাচ্ছেন।  এ ব্যপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন ফয়দা হচ্ছে না। অভিযোগেওই শিক্ষক নেতা সাংবাদিকদের আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি নির্বাচন একান্তই শিক্ষকদের নিজস্ব বিষয়। কিন্তু নির্বাচনকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রশাসনের আশির্বাদপুষ্ট কোন ব্যক্তি  বা জোট সুবিধামতো একটি বিমেষ পরিচয় সৃষ্টি করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এসবের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী ২৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর গণতান্ত্রিক ভাবে এই প্রথম বার শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৩:৩৩পিএম/২২/৭/২০১৮ইং)